কলার খোসার যত গুণাগুণ
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
কলা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি ফল, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধে ভীষণ ভূমিকা রাখে। তবে জানলে অবাক হবেন, শুধু কলা নয়, কলার খোসারও রয়েছে নানা গুণ। ঘরের কাজ থেকে শুরু করে রূপচর্চা নানান কাজে ব্যবহার করা যায় কলার খোসা। কাঁচা হোক কিংবা পাকা দুই অবস্থাতেই কলা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।
চলুন জেনে নেয়া যাক কলার খোসার কয়েকটি ব্যবহার সম্পর্কে।
জুতার যত্ন : অনেকসময় দীর্ঘদিন ব্যবহার না করার ফলে চামড়ার জুতায় জেদি দাগ হয়ে যায়; যা সহজেই উঠানো যায় না। এই জেদি দাগ তুলতে ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা। পাকা কলার খোসার ভিতরের অংশ জুতোর উপরে ঘষুন। এরপর পাতলা কাপড় দিয়ে মুছে নিন। জুতা খুব সহজেই চকচকে হবে।
সার : কলার খোসায় থাকা পটাশিয়াম ও সোডিয়াম খুব ভাল বায়োডিগ্রেডেবল এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। তাই বাগানে ফুল গাছে সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা।
দাঁতের ঔজ্জ্বল্য : দাঁতে হলুদ দাগ পরলে প্রতি দিন সকালে কলার খোসার ভিতরের অংশ কিছুক্ষণ দাঁতে ঘষুন। এরপর টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মাজুন। এইভাবে কয়েকদিন করলে এক সপ্তাহে দাঁতের উজ্জ্বলতা ফিরে পাবেন।
সুস্বাদু খাবার: কাঁচকলার খোসা ফেলে না দিয়ে কুচি করে ভাপ দিয়ে নিন। সঙ্গে অল্প কালো জিরা, গোলমরিচ গুঁড়া, পেঁয়াজ, রসুন ও তেল দিয়ে বানিয়ে ফেলুন চমৎকার ভর্তা। এর সঙ্গে চিংড়িও দিতে পারেন। এতে দ্বিগুণ হয়ে যাবে ভর্তার স্বাদ।
ত্বকের যত্ন: কলার খোসা বেটে তার সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। মুখের কালো দাগ বা বলিরেখা দূর হবে সহজে। ত্বককে মসৃণ করতেও কলার খোসার জুরি অতুলনীয়। শুষ্ক ত্বকে কলার খোসার ভিতরের অংশ লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর শুকিয়ে এলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বক হবে নরম ও উজ্জ্বল।
ওটস ও কলার খোসা
১টি কলার খোসা, ২ টেবিল চামচ ওট এবং ১ টেবিল চামচ চিনি একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। সামান্য দুধ দিতে পারেন প্রয়োজনে। মিশ্রণটি দিয়ে ত্বক স্ক্রাব করুন ১০ মিনিট। ত্বকের মরা চামড়া দূর করে ত্বক উজ্জ্বল করবে এটি।
জি আই/