প্রেমিককে হত্যা করে লাশ গুম করে মেরিনা


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


প্রেমিককে হত্যা করে লাশ গুম করে মেরিনা

রাজশাহীতে বাড়িতে ডেকে প্রেমিককে হত্যা করে লাশ গুমের ঘটনার ১২ ঘন্টার মধ্যেই প্রেমিকাসহ দুই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার তাদের গ্রেপ্তারের পর প্রেমিক রশিদুল মন্ডলের (২৪) লাশ উদ্ধার করা হয়। 

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) দুপুরে মেট্রোপলিটন পুলিশের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার সায়েরগাছার একরামুল ইসলাম ভাদুর মেয়ে মেরিনা খাতুন (২১) এবং ঈশা হকের মেয়ে নেশা খাতুন (২২)।

কাশিয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম মাসুদ পারভেজ জানায়, ‍“কাশিয়াডাঙ্গা থানার পুলিশের একটি টিম বুধবার (১৫ জুন) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে সায়েরগাছার বুলবুল আহম্মেদের বাড়ি থেকে আসামি মেরিনাকে আটক করে। মেরিনার দেয়া তথ্যমতে বাড়ির ছাদের স্টোর-রুম হতে রশিদুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপর আসামি নেশা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।”

ওসি আরো বলেন, “বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুই আসামীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত প্রেমিক রশিদুলের পিতা জহির মন্ডল বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সে মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের আদালতে চালান দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সেচ্ছায় জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।”

পুলিশ জানান, নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর থানার পয়লান গ্রামের জহির মন্ডলের ছেলে রশিদুল মন্ডল পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। সায়েরগাছার বুলবুল আহম্মেদের বাড়িতে কাজের সুবাদে প্রায় এক বছর আগে মেরিনা খাতুনের সাথে রশিদুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। মেরিনা খাতুন বুলবুল আহম্মেদের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতো। গত মঙ্গলবার (১৪ জুন) রাতের বুলবুলের বাড়িতে রশীদুল মেরিনার সাথে দেখা করতে যায়। সেখানে মেরিনা রশিদুলকে বিয়ে করার জন্য বলে। কিন্তু রশিদুল পরিবারের সাথে কথা বলে পরে জানাবে বলে জানায়। এ সময় মেরিনা তাকে রাতেই বিবাহ করার জন্য চাপ দেয় এবং জোর-জবরদোস্তি করতে থাকে। রাত ১১ টার দিকে রশিদুল সেখান থেকে চলে যেতে চাইলে মেরিনা তাকে বাঁধা দেয়। এ সময় উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে মেরিনা খাতুন ধাক্কা দিয়ে রশিদুলকে ফেলে দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে বাড়ির লোকজন ঘুম থেকে উঠার আগেই ভোরে মেরিনা তার বান্ধবী নেশা খাতুনকে ডেকে নিয়ে আসে। এর পর দুইজন মিলে লাশ বাড়ির ছাদের স্টোর-রুমে রেখে তালাবদ্ধ করে দেয়। বুলবুলের বাড়িতে গিয়ে যুবক নিখোঁজ হয়েছেন এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালায়।

এসএ/