পঞ্চগড়ে কাঁচা চা পাতা কেনা বন্ধ, বিপাকে চা চাষীরা


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


পঞ্চগড়ে কাঁচা চা পাতা কেনা বন্ধ, বিপাকে চা চাষীরা

পঞ্চগড়ে ভরা মৌসুমে চাষী ও বাগান মালিকদের কাছ থেকে কাঁচা চা পাতা কেনা বন্ধ করে দিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। কদিন ধরে এ অবস্থা চলে আসছে। পঞ্চগড়ের ২০টি কারখানায় চা পাতা কেনা বন্ধ রাখা হয়।

সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের মরগেন নামে একটি চা প্রক্রিয়াজাত কারখানায় ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক হামলা ও কর্মচারীদের মারধরের প্রতিবাদে কারখানা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ বট লিফ টি ফ্যাক্টরি ওনার্স এসোসিয়েশনের সিদ্ধান্তে এসব কারখানায় চা পাতা কেনা বন্ধ রাখা হয়। এ ঘটনায় কারখানাটির পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে।এদিকে কাঁচা চা পাতা বিক্রি করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন চাষীরা। 

তাদের দাবি, এ সময় না কিনলে চা পাতা বড় হয়ে যাবে। তখন কেটে ফেলে দিতে হবে। আমরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হব।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বিকালে জেলার সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান নুরুর নির্দেশে জাহিদুল ইসলাম ও সৈয়দ বশিরুল আলম সরকারসহ একদল লোক চা চাষী পরিচয়ে নিম্নমানের কাঁচা চা পাতা বিক্রির জন্য মরগেন টি ফ্যাক্টরি লিমিটেডের ভেতরে প্রবেশ করেন। কারখানার সুপারভাইজার নাজমুল হুদা নিম্নমানের কাঁচা চা পাতা ক্রয়ে অস্বীকৃতি জানালে উভয়ের মধ্যে প্রথমে বাগিবতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে তারা কারখানার কয়েকজন কর্মচারীকে মারধর করেন। এ সময় কারখানা কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে মরগেন চা কারখানার সুপারভাইজার মো. নাজমুল হুদা বাদী হয়ে অমরখানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান নুরু, চেয়ারম্যানের ভাই মোকলেছুর রহমানসহ ১০ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি মামলা করেন। 

মরগেন টি ফ্যাক্টরির স্বত্বাধিকারী নিয়াজ আলী চিশতি জনবাণীকে জানান, ‍“আর কত সহ্য করব। এ চেয়ারম্যান ও তাদের লোকজন প্রায়ই চাঁদার জন্য কারখানায় আসে। তাদের সম্মান করি। অযৌক্তিকভাবে নিম্নমানের চা পাতা কিনতে বাধ্য করেন। নিম্নমানের চা পাতা কিনতে রাজি না হওয়ায় চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে লোকজন আমার কারখানায় আক্রমণ করে।” 

বাংলাদেশ বটলিফ টি ফ্যাক্টরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পঞ্চগড় জেলার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মিঞা জনবাণীকে জানান, “মরগেন টি ফ্যাক্টরিতে হামলার প্রতিবাদে আমরা কাঁচা চা পাতা কেনা বন্ধ রেখেছি। আমরা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছি।”

অমরখানা ইউপি চেয়ারম্যান মো. নরুজ্জামান নুরু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষই এ ঘটনার জন্য দায়ী।

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জনবাণীকে জানান, “আমরা দ্রুত সংকট সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।”

এসএ/