শিক্ষার্থী হয়রানি পেশায় পরিণত হয়েছে মাইলস্টোন কলেজের শিক্ষক শাম্মী ও হান্নানের
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
মাইলস্টোন কলেজের শিক্ষক ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের প্রধান হান্নান ও সহকারী অধ্যাপক শাম্মী আক্তারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) শিক্ষার্থীকে অপমান করে কলেজ থেকে বের করে দেন শিক্ষক হান্নান। এছাড়াও ছাত্রীবাসে থাকাকালীন অবস্থায় মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করছিলেন শিক্ষক আবদুল হান্নান। এ সময় এক সাংবাদিকের পরিচয় পাওয়ার পরও লাঞ্ছিত করেন ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের প্রধান হান্নান। ইতিপূর্বেও ঐ সাংবাদিককে হুমকি দিয়ে কথা বলেছেন মাইলস্টোন কলেজের সহকারী অধ্যাপক শাম্মী আক্তার। এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। যার নং- ১৩০৮।
পুলিশ এ ব্যাপারে বলেন, ‘তদন্ত করে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
রাজধানী উত্তরা ১১ নাম্বার ক্যাম্পাসের একাধিক শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের নাম দয়া করে প্রকাশ করবেন না। আমাদের নাম জানলে আমাদেরকে আরও হয়রানি করবে মিস। শাম্মী মিসের সাথে সাথে কথা বলা যায় না। যেকোন বিষয়ে তিনি খুব খারাপ ব্যবহার করেন। এমনকি তিনি আমাদের অতিরিক্ত প্রাইভেট পড়তেও বাধ্য করেন।’
শিক্ষক শাম্মী আক্তারের নামে অভিযোগ আছে যে, ‘এক শীক্ষার্থীকে গত প্রায় ৬ মাস ধরে হয়রানি করে আসছে। শাম্মী আক্তার তাকে দীর্ঘদিন ক্লাস করতে দেয়নি। এভাবে শীক্ষার্থীকে দীর্ঘদিন হয়রানি করে আসছেন তিনি। পরবর্তীতে তিনি টিসি নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। তারা নিজেরাই টিসির জন্য আবেদন করেন। তারপর শীক্ষার্থীকে বোর্ডে যেতেও তারা বাধ্য করেন এবং হয়রানী করেন। সর্বশেষ শাম্মী আক্তার ঔ শিক্ষার্থীর কাছে দুই মাস প্রাইভেট পড়ার নাম করে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন। এত টাকা দিতে রাজি না হলে সেই শীক্ষার্থীর এইচ.এস.সি পরীক্ষার ফরম ফিলাপ আটকে দেন তিনি।”
অন্যদিকে আরেক শিক্ষক আবদুল হান্নান ছাত্রীদের বিভিন্নভাবে হয়রানী করে বলেও অভিযোগ উঠেছে। যে শীক্ষার্থীকে গত প্রায় ৬ মাস যাবত ক্লাস করতে দেয়নি শাম্মী আক্তার, সেই শীক্ষার্থীকেই বিভিন্নভাবে বাজে মন্তব্য করে অপমান করতেন হান্নান। এছাড়াও সেই শীক্ষার্থীকে হান্নান মোবাইল ফোনে হুমকি প্রদান করেন; হুমকি দিয়ে বলেন, ‘ তুমি কিন্তু খুব বাড়াবাড়ি করছ, তোমার অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে কিন্তু’।
নাম প্রকাশে আরেক শীক্ষার্থীর বড় বোন বলেন, ‘আমার ছোট বোনের টিসি হয়ে গেছে। এখন শুধু সাইন করা বাকি। কিন্তু সেই সাইন নিয়ে শাম্মী ম্যাডাম আমাকে আজ প্রায় ২ সপ্তাহ যাবৎ হয়রানি করছে।’
মাইলস্টোন কলেজের এই শিক্ষক শাম্মী আক্তারের নামে এরকম আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি এক সাংবাদিক এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য শাম্মী আক্তারের সঙ্গে কথা বললে সাংবাদিককের সাথেও খারাপ ব্যবহার করেন তিনি। এবং সেই সাংবাদিককে বলেন, ‘আপনি নিউজ করে আমার কিছুই করতে পারবেন না। আপনি যা পারেন করেন।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক হান্নান অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন।
মাইলস্টোন কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল মিজানুর রহমান এ ব্যাপারে বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না।’
এসএ/