কিশোরগঞ্জের হাওরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


কিশোরগঞ্জের হাওরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত

টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কিশোরগঞ্জের হাওরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গোয়ালঘর, ধানের গোলাঘরসহ বিভিন্ন জায়গা। এরই মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে উঠতে শুরু করেছেন আক্রান্ত এলাকার মানুষজন। শনিবার দুপুরে হাওর অধ্যুষিত ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম ও নিকলী উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।

ইটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিসা আক্তার জানান,ইটনা উপজেলার অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আক্রান্ত এলাকার লোকজন ইটনা সদরে অবস্থিত রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজসহ অন্যান্য আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন। নিকলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু হাসান জানান, উপজেলার সিংপুর, ছাতিরচর ও দামপাড়া এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

ইতোমধ্যে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে বলেও জানান তিনি। অষ্টগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হারুন অর রশিদ জানান, সদর ইউনিয়নের ৪০/৫০ টি বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে বলে জানান তিনি।

ইটনা উপজেলার মৃগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দারুল ইসলাম জানান, এখানকার ২৫ ভাগ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের মানুষ ইতোমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। অন্তত ১০টি গ্রামের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে বলেও জানান তিনি। ইটনার জয়সিদ্ধি বাজারেও পানি ঢুকেছে বলে জানা গেছে।

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিন পরিদর্শন করতে উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদেরকে সাথে নিয়ে গতকাল শনিবার তিনি ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম ঘুরেছেন। অনেক এলাকায় পানি ঢুকেছে উল্লেখ করে তিনি জানান, আক্রান্ত মানুষদেরকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হচ্ছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় নৌকাও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত দুই হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ১৪০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ আড়াই লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

জি আই/