দামুড়হুদায় অবৈধভাবে বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পশ্চিম দিক দিয়ে বয়ে যাওয়া ভৈরব নদী থেকে অবৈধ্য ভাবে বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। এক সময়ের খরাস্রতা খালে পরিনত হওয়া নদীটি পূনরায় আগের অব্স্থায় ফিরিয়ে আনতে সম্প্রতি পূর্ণ খনন কাজ চলছে। খননের সময় সুযোাগ বুঝে ঠিকাদার বালু উত্তোলন করে স্তুপ করে রাখে ঠিকাদার বিশ্বজিত চন্দ্র শাহা ঐ নদী থেকে অবৈধ ভাবে বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে স্তুপ করে রেখে ইট ভাটাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছেন।
জানাগেছে, দামুড়হুদার সীমানায় ২৮ কিলোমিটার ভৈরব নদী রয়েছে। এরমধ্যে সুবলপুর থেকে কানাইডাঙ্গা পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার নদী খননের কাজ পায় ঠিকাদার বিশ্বজিত। আইনগত ভাবে ভূ-গর্ভস্ত বা নদীর তলদেশ থেকে মাটি বা বালু উত্তোলন করা নিষিদ্ধ থাকলে ও আইনের তোয়াক্কা না করে খননের এক পর্যায়ে কার্পাসডাঙ্গার কোমরপুর ঈদগার দক্ষিন পাশে, কোমরপুর শানকি ঘাট, জোড়াতলা গালা, কার্পাসডাঙ্গা খাবলি ঘাট, তেতুলতলা ঘাট নামক ৫টি স্থানে বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে স্তুপ করে রাখা হয়। পরে রাতের আধারে বা প্রশাসনের চোঁখ ফাকি দিয়ে ঐসব স্তুপ থেকে এক হাজার টাকা ট্রলি দরে শত শত ট্রলি বালি ইট ভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে শনিবার (২৫ জুন) ভৈরব খননের ঠিকাদার বিশ্বজিত চন্দ্র শাহার ম্যানেজার আবু বক্কর বলেন, “ভৈরব নদী খননের সময় মাজখানে গ্যাপ থাকায় ওখান থেকে বালু উত্তোলন করে রাখা হয়েছে সেই বালু বিক্রি করা হচ্ছে।
কার্পসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস বলেন, “নদী থেকে বালু উত্তোলন সরকারী ভাবে নিষিদ্ধ। বালু উত্তোলনে ফলে পানি দূষণসহ নদীগর্ভের গঠন প্রক্রিয়া বদলে যায়। এতে করে নদীর ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়ে চাষাবাদের জমিও নষ্ট হয়ে থাকে তেমনি প্রাণিকুলের মধ্যে পরিবর্তন ঘটে ফলে তাদের আবাসস্থল ও খাদ্যের উৎসও ধ্বংস হয়। ফলে মৎস্য প্র্রজনন-প্রক্রিয়া পাল্টে যায়। তাই ফসলি জমি ও মৎস রক্ষায় আমাদের সকলের সচেতন হওয়া দরকার।”
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুদীপ্ত কুমার সিংহ জানান, “নদীগর্ভ থেকে বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কোন সুযোগ নেই।যদি কোন ব্যক্তি সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে বালু উত্তোলন করে তাহলে আইন ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এসএ/