ত্রিশালে দুইশো বছর আগে নির্মিত মসজিদ এখনও সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
ত্রিশাল প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রায় দুইশো বছর আগে নির্মিত আলহাজ্ব মরহুম ফরমান আলী সরকার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে এখনও। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট নিখুঁত কারুকার্যের এই মসজিদটি আলহাজ্ব মরহুম ফরমান আলীর একক চেষ্টায় নির্মিত হয়। উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নে ত্রিশাল-বালিপাড়া সড়কের পাশে নির্মিত এই দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলী দেখতে অনেক দূরদুরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে।
জানা যায়, এটি নির্মাণে তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশের কলকাতা থেকে শ্রমিক এনে বেশ কয়েক বছরে শেষ করা হয়েছিল। এর বাইরের এবং ভিতরের নিখুঁত কারুকার্য গুলো যে কোনো মানুষের দৃষ্টি কাঁড়ে। আলহাজ্ব ফরমান আলী ছিলেন একজন সভ্রান্ত মুসলিম। ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি অগাধ আস্থা ও বিশ্বাসের কারণে অত্যন্ত ভালোবাসায় অনেক টাকা খরচ করে এর নির্মাণ কাজ শেষ করেন। তিনি শুধু এই মসজিদ নির্মাণ করেই থেমে যাননি। আজীবনের জন্য এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও তুলে নেন নিজের কাঁধে। তার জীবদ্দশার পরও যেন এই মসজিদ পরিচালনায় কারও আর্থিক সহযোগিতার প্রয়োজন না পড়ে সেজন্য প্রায় সাড়ে চার একর আবাদি জমি মসজিদের নামে লিখে দিয়ে যান। মসজিদটি মুতাওয়াল্লির মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত মুতাওয়াল্লি মোঃ শাহজাহান সরকার জনবাণীকে বলেন, ইসলামের বিকাশ এবং ধর্মীয় রীতিনীতি পালনে আলহাজ্ব মরহুম ফরমান আলী সরকারের অবদান অপরিসীম। উনার একক প্রচেষ্টায় প্রায় ২শত বছর আগে চুন, সুলকির গাঁথনি দ্বারা এই অপূর্ব কারুকার্যের মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়। মসজিদের নামে উনার দেয়া জমির ফসল থেকেই একজন ইমাম, একজন খতিব ও একজন মোয়াজ্জিন সহ যাবতীয় খরচ বহন করা হয়।
মসজিদের ভিতরে তিনটি মেহরাব রয়েছে। এর মধ্যে মাঝখানেরটি ইমামের জন্য। দুইপাশের দুইটি সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য। এই মেহরাব গুলো দেয়ালের ভেতরের অংশেই নির্মাণ করা হয়েছে। সেজন্য বাইরের অংশে মেহরাবের কোনো চিহ্ন খোঁজে পাওয়া যাবে না। মেহরাবের জন্য মসজিদের পশ্চিম পার্শের দেয়াল প্রায় তিন ফুট প্রশস্ত করে নির্মাণ করা হয়েছে।
এটি ২শত বছর আগে নির্মাণ করা হলেও এর মূল অংশের এখনও সংস্কারের প্রয়োজন পরেনি।
এসএ/