শিশু তানিশাকে গাছে বেঁধে প্লায়ার্স দিয়ে নখ তুলে নির্যাতন!


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


শিশু তানিশাকে গাছে বেঁধে প্লায়ার্স দিয়ে নখ তুলে নির্যাতন!

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেউলা ইউনিয়নে শিশু মেয়ে তানিশাকে (৭) দিনভর গাছের সাথে বেঁধে শারিরীক নির্যাতন করে সৎ মা। এ ঘটনায় রবিবার (২৬ জুন) সৎ মা মনোয়ারা বেগমকে আটক করেছে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ। এ ছাড়া ওই ২৩ জুন এ শিশু মেয়েটিকে নির্যাতনের ভিডিওটি স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

নির্যাতনের শিকার তানিশার বাবা হারুন জনবাণীকে জানান, “গত ৬ বছর পূর্বে আমার ১ম স্ত্রী’র সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর আমার মেয়ে তানিশাকে নিয়ে বসবাস করছি। এরপর আমি দ্বিতীয় বিবাহ করার এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পর মনোয়ারা বেগম আমার মেয়ে তানিশাকে তাহার স্বেচ্ছায় ভরন-পোষন ও দায়িত্বভার নেয়ার জন্য আমার বাড়ীতে আসে। আমি আমার মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমার মেয়েকে তার কাছে পাঠাই। কিছুদিন পর মনোয়ারা বেগম আমার মেয়েকে বিভিন্ন কাজের অজুহাতে অমানুষিক নির্যাতন করার সংবাদ পাই। এ বিষয় তার কাছে একাধিবার জানতে চাইলে সে বিষয়টি এড়িয়ে যায়। গত ২৩ জুন সকাল আনুমানিক সাড়ে ১১টায় মোবাইল হারানোর অজুহাতে মনোয়ারা আমার মেয়ে তানিশার মাথার চুল ধরে টেনে হেচড়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মাটিতে আছাড় মারিতে থাকে এবং লোহার প্লাস দিয়ে ডান হাতের তর্জনি আঙ্গুল টেনে রক্তাক্ত জখম করে। এরপর গাছের সাথে দিনভর বেধে রেখে অত্যাচার নির্যাতন করে। আমার মেয়ের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তাদেরকে খুন জখমের হুমকি প্রদান করে। এ অত্যাচার নির্যাতনের বিষয়টি আশপাশের লোকজন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিডিও ধারণ করে। এগুলো দেখে আমার গাঁ শিউরিয়ে উঠে। পরে আমার মেয়ে কে উদ্ধার করে বোরহানউদ্দিন হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়।”

এ ব্যাপারে বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইন-চার্জ মো. শাহিন ফকির জনবাণীকে জানান, “এ ঘটনার সত্যতা পেয়ে রবিবার সৎ মা মনোয়ারা বেগমকে আটক করে ভোলা কোর্টে প্রেরণ করেছি।”

এসএ/