প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া: দেখা করতে গিয়ে প্রেমিক নিহত


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া: দেখা করতে গিয়ে প্রেমিক নিহত

কম্বোডিয়া প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত এক বিকাশ ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পরকীয়ার কারণে তিনি হত্যার শিকার হয়ে থাকতে পারেন বলে এলাকাবাসীর ধারণা। এ ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। 

মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাত ১টার দিকে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের জিরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বুধবার (২৯ জুন) সকালে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিরউদ্দীন মৃধা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত ব্যক্তি হলেন, উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়ালচাতার গ্রামের মৃত ফকির আহম্মেদের ছেলে নিজাম উদ্দীন (৪৫)। তিনি কাজিরহাট বাজারের বিকাশের এজেন্ট।

আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন, তহমিনা বেগম (৩৮), সুমন (২১), প্রতিবেশী আব্দুল মাজে (৫০) এবং মাজেদের ছেলে মোমিনুল ইসলাম (২০)।

এলাকাবাসী জানান, কম্বোডিয়া প্রাবাসী আব্দুস সামাদের স্ত্রী তহমিনার সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বিকাশের এজেন্ট নিজাম উদ্দীনের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। গতকাল রাতে তিনি ওই নারীর ঘরে গেলে তার ছেলে চোর চোর বলে চিৎকার করলে। প্রবাসীর পরিবার তাকে অঅটক করে। এরপর চড় থাপ্পড় দিলে সে পালিয়ে যায়। এ সময় দৌঁড়াতে গিয়ে রাস্তায় পড়ে মারা যান তিনি। স্ট্রোক করে মারা যেতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

মৃত নিজাম উদ্দীনের ভাই মশিয়ার সরদার জনবাণীকে বলেন, “রাত একটার দিকে দিগাং এলাকা থেকে মেম্বার আসাদ সরদার তাকে ফোন দিয়ে ডাকার পরে তারা সেখানে গিয়ে তার ভাইকে মৃত দেখেন। তার হাতে-পায়ে ক্ষত রয়েছে বলেও জানান তিনি। তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।” 

নিহতের ছেলে গোলাম রসুল দাবি করেন, “মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাতে দোকান থেকে তার বাবা বাড়ি ফিরছিলেন। তার কাছে টাকা ছিল। টাকাগুলো কেড়ে নেওয়ার জন্য বাবাকে মারপিট করে হত্যা করা হয়েছে।”

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিরউদ্দীন মৃধা জনবাণীকে বলেন, “কেরালকাতা ইউনিয়নের কাজিরহাট এলাকায় আব্দুস সামাদ একজন কম্বোডিয়া প্রবাসী। তিনি প্রায় সময় বিকাশের মাধ্যমে তার স্ত্রী তহমিনা বেগমের কাছে টাকা পাঠাতেন। এক পর্যায়ের বিকাশের এজেন্ট নিজাম উদ্দীনের সঙ্গে তহমিনা বেগম প্রেমে জড়িয়ে পড়েন।”

ওসি বলেন, “আগে থেকে মোবাইলফোনে আলাপ করে মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাতে প্রেমিকার বাড়িতে যায় নিজাম। এ সময় তহমিনার ছেলে সুমন তাকে দেখে ফেলে। এ সময় সে চোর চোর বলে চিৎকার দিলে নিজাম দৌঁড়ে পালাতে গিয়ে রাস্তায় অচেতন হয়ে পড়ে মারা যান।”

তিনি আরও বলেন, “মঙ্গলবার রাতেই মরদেহ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর জানা যাবে কীভাবে মারা গেছেন মিজান। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্ট্রোক করে মারা গেছেন তিনি। তবে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।”

এসএ/