রাবি শিক্ষিকাকে অপমান: ছাত্রকে বহিষ্কারের দাবি
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) আইন বিভাগের ক্লাস চলাকালীন শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে সেই বিভাগের মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে নিজ বিভাগের সামনে বিক্ষোভ করেন আইন বিভাগের সকল শিক্ষার্থী।
বুধবার (২৯ জুন) সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের আইন বিভাগের ২৪৪ নাম্বার কক্ষে এমন ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষিকা হলেন অধ্যাপক ড. বেগম আসমা সিদ্দিকা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী হলেন আশিক উল্লাহ। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, চতুর্থ বর্ষের ক্লাস চলাকালীন আশিক উল্লাহ তার মাস্টার্সের পরীক্ষা কেন্দ্রিক কোনো সমস্যার কারণে শিক্ষিকার সাথে ঝামেলা শুরু করেন। এগুলো আমার বিষয় না এগুলো চেয়ারম্যানের বিষয়। চেয়ারম্যানের কাছে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে চলে আসতে চাইলে শিক্ষিকাকে বের হতে দিবে না বলে ক্লাসের দরজা বন্ধ করে দেন অভিযুক্ত আশিক উল্লাহ। তখন ক্লাসে ভিতর থাকা শিক্ষার্থীরা ক্ষেপে যায় এবং শিক্ষিকাকে বের করে বিভাগের চেয়ারম্যানের রুমে পৌঁছে দিয়ে আসেন তারা। এসময় শিক্ষার্থীদেরকেও হুমকি দেন ওই অভিযুক্ত শিক্ষার্থী।
এ ঘটনার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অফিসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি অভিযুক্ত আশিক উল্লাহকে আজকের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে এবং তাকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা জনবাণীকে বলেন, “আমাদের ম্যামের অপমানের সঠিক বিচার আমরা আজকের মধ্যেই চাই। উপাচার্যের ক্ষমতা বলে সাতদিনের মধ্যে কোনো শিক্ষার্থীকে পদত্যাগ করতে পারেন। ওই আইনের আওতায় এনে আজকের মধ্যে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে। আইন বিভাগের সকল শিক্ষার্থীর হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন মামলা করে তাকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাবো। ”
আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো হাসিবুল আলম প্রধান জনবাণীকে বলেন, “শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করা মতো ঘটনা অবশ্যই অন্যায়। আমরা একাডেমিক জরুরি মিটিং ডেকেছি সেই সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
এসএ/