মেহেরপুরে লতিকচু চাষে কৃষকদের বাজিমাত


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


মেহেরপুরে লতিকচু চাষে কৃষকদের বাজিমাত

কচুর লতি চাষে নিজেদের ভাগ্য বদল করেছেন মেহেরপুর জেলার প্রান্তিক চাষিরা। লতিরাজ কচুর জন্য দেশজুড়ে রয়েছে মেহেরপুর জেলার সুখ্যাতি।
গত বছর মেহেরপুর জেলা শহরের উপকণ্ঠে দীঘিরপাড়া গ্রামের বাবু মিয়া প্রথমবারের মত লতিকচু চাষ করে বাজিমাত করেন। মেহেরপুর কৃষি বিভাগের পরামর্শে ২৪ কাঠা জমির লতিকচু বিক্রি করেন ৩ লাখ ২০ হাজার টাকায়। তার দেখাদেখি এবার জেলাজুড়ে কন্দাল জাতের লতি কচু বাণিজ্যিক চাষাবাদে বাজিমাত করেছেন চাষিরা। কৃষি বিভাগের সূত্রমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে লতি কচুর চাষ হচ্ছে। লতিকচু ও কন্দাল জাতের লতিকচু একই হলেও কন্দাল জাতে ফলন বেশি বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

জেলা শহরের উপকন্ঠে দিঘিরপাড়া গ্রামের বাবু মিয়া জানান, কচুর লতি চাষ একটি লাভজনক কৃষি। গত বছর আমি ২৪ কাঠা জমি থেকে ৩ লাখের বেশি টাকার লতি বিক্রি করেছিলাম। এ বছর ১ একর জমিতে লতির চাষ করেছি। কচু একবার লাগালে লতি, মুখী (ছড়া), ফুলসহ কয়েক ধরনের সবজি পাওয়া যায়। আর বাজারে এসবের চাহিদাও ভালো। তাই প্রতি বছর চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।”

এ প্রসঙ্গে সদর উপজেলার কৃষি অফিসার নাসরিন পারভীন জনবাণীকে জানান, “বসতবাড়ির আশেপাশে স্যাতস্যাতে জমিতে সহজেই লতিকচু চাষ করা যায়। এতে করে একদিকে যেমন পুষ্টিচাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে তেমনি অন্যদিকে চাষিরাও লাভবান হচ্ছেন । মেহেরপুরের লতিকচু ভবিষ্যৎতে দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।”

এসএ/