বন্যার পর বিএনপির আন্দোলন আষাঢ়ে গর্জন: কাদের
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
চলমান বন্যার পর এক দফা আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে-বিএনপির এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আন্দোলনের হুমকি আষাঢ়ের তর্জন-গর্জনের মতো। এ নিয়ে আমাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি একবার বলে ঈদের পর কঠোর আন্দোলন, আরেকবার বলে পরীক্ষার পর। এখন বলছে বন্যার পর আন্দোলন। আসলে তাদের আন্দোলনের পরিণতি আষাঢ়ে তর্জন-গর্জনের মতোই।’
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বন্যা কবলিত ১০ জেলার অসহায় মানুষদের নগদ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের ত্রাণ উপকমিটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির একমাত্র কাজ মিথ্যাচার করা। তাদের সব মিথ্যাচার আর চরিত্র হননের জবাব আমরা কাজ দিয়ে দেবো। তারা সমালোচনা করুক। আন্দোলন, কীসের আন্দোলন, কবে হয়েছিল আন্দোলন? শুনেছি বহুবার, ডাক দিয়েছিল ঈদের পর, ডাক দিয়েছিল পরীক্ষার পর। এখন আবার ডাক দিচ্ছেন বন্যার পর। দেখতে দেখতে ১৩ বছর। আন্দোলন হবে কোন বছর? দেশের মানুষ জানে, তাদের আন্দোলনের ডাক আষাঢ়ের তর্জন-গর্জনের মতো। এ নিয়ে আমাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই।’
এদিন সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও কুড়িগ্রাম জেলার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি উপজেলার মানুষকে অর্থ সহয়তা দেয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বন্যায় সরকার ৯ হাজার মেট্রিক টন চাল, দেড় লাখ প্যাকেট শুকনো খাবার, নগদ ১১ কোটি টাকা ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকেও ১ কোটি টাকার বেশি দেওয়া হয়েছে। সিলেট ও সুনামগঞ্জের স্থানীয় আওয়ামী লীগও যথেষ্ট অর্থ সহয়তা দিয়েছে।’
অনুষ্ঠানে সিলেট বিভাগের আট উপজেলার পক্ষ থেকে সহায়তার অর্থ গ্রহণ করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল ইসলাম চৌধুরী নাদেল ও কুড়িগ্রাম জেলার পক্ষে অর্থ নেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।
ওআ/