বিপিএম পদক পেলেন গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
সাইফুর রহমান, গোপালগঞ্জ: বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) সেবা পদক পেলেন গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা। ২০২১ সালের প্রশংসনীয়, ভালো এবং মানবিক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ পদক "বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা" অর্জন করেছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা গত বছরের ৪ জানুয়ারি গোপালগঞ্জ জেলায় পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি প্রতিটি ক্ষেত্রে রেখেছেন নতুনত্ব ও সফলতার ছোঁয়া। বাংলাদেশ পুলিশের আইজি ড. বেনজীর আহমেদ এর নির্দেশনা ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, বিট পুলিশিং এবং স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক পুলিশিং বাস্তবায়নে একজন প্রকৃত অভিভাবকের ন্যায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন টিম গোপালগঞ্জকে, সর্বমহলে সুনাম অর্জন করে নিজের দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন শতভাগ। ফলশ্রুতিতে গোপালগঞ্জ জেলার প্রতিটি অঞ্চলে কমেছে অপরাধের মাত্রা, হ্রাস পেয়েছে মুলতবি মামলার জট, মাঝে টুঙ্গিপাড়া থানা বেশ কিছুদিন ছিলো সম্পূর্ণ মামলা শুন্য, যা ছিলো গোপালগঞ্জ জেলার ইতিহাসে প্রথম। এরই ধারাবাহিকতায় দিনদিন সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করার ক্ষেত্রে দ্রতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে পুলিশিং সেবা।
'মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার', এই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে প্রথম দিন থেকেই জেলা পুলিশের অভিভাবক হিসেবে দিবানিশি কাজ করে যাচ্ছেন পুলিশ সুপার। পুলিশ সুপার এর নির্দেশনা ও প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে জেলার প্রত্যেক পুলিশ সদস্য আজ উজ্জীবিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কর্তৃক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ওড়াকান্দি ঠাকুর বাড়ি পরিদর্শনের ভিভিআইপি প্রোগ্রামকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে সফলভাবে সম্পন্ন করতে সার্বিক পুলিশিং কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিয়ে শতভাগ সফলতা অর্জন করে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। করোনাকালীন অতিমারীতে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা পুলিশের প্রতিটি সদস্য তার নির্দেশনায় ছিলেন সদাজাগ্রত। জেলা পুলিশের উপস্থিতি আর প্রচেষ্টা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে অত্যন্ত সুনামের সাথে, গোপালগঞ্জবাসীর নিকটও তা ছিলো অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ইউনিয়ন পর্যায়ে পুলিশিং সেবাকে পৌঁছে দিতে পূর্ণ উদ্যোমে বিট পুলিশিং বাস্তবায়ন, বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদঘাটন, ভিআইপি প্রোগ্রাম সহ নানাবিধ প্রোগ্রামে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণ, ট্রেইনি রিক্রুট কন্সটেবল নিয়োগের সবগুলো ধাপ এবং সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) নিয়োগ কার্যক্রমে প্রাথমিক বাছাই পর্ব শতভাগ স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, পেশাদারিত্ব ও সততার সাথে সম্পন্নকরণ, দৈনন্দিন পুলিশিং সেবাকে সহজীকরণ সহ নানাবিধ কার্যক্রম গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশকে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়, যার মূল বাস্তবায়নকারী পুলিশ সুপার গোপালগঞ্জ।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতার সোনার বাংলা বিনির্মাণে গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপারের অভিভাবকসুলভ নেতৃত্ব, প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধায়ন এবং শতভাগ পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার ফলশ্রুতিতে জেলা পুলিশের সকল সদস্য উদ্দীপনা সহকারে কাজ করে যাচ্ছে এক সফল টিম হিসেবে। আগত দিনগুলোতেও একই উদ্দীপনা ও দুর্বার গতিতে কাজ করে বাংলাদেশের পূন্যভূমি এই গোপালগঞ্জ জেলার পুলিশিং কার্যক্রম সারাদেশের রোল মডেল হবে। পুলিশ সুপারের এমন সাফল্যে আজ জেলা পুলিশের প্রতিটি সদস্য গর্বিত, আনন্দিত ও উৎফুল্ল।
এসএ/