এরশাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী ১৪ জুলাই। তিনি ২০১৯ সালের এ দিনে মারা যান। নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো সামরিক শাসক এরশাদ ১৯৩০ সালে ভারতের কোচবিহারের দিনাহাটায় জন্মগ্রহণ করেন। তবে দেশভাগের পর সপরিবারে রংপুরে স্থায়ী হন।
১৯৫২ সালে সেনাবাহিনীতে কর্মজীবন শুরু করে ১৯৭৮ সালে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পান। ১৯৮২ সালে রক্তপাতহীন সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতায় এসে প্রায় ৯ বছর দেশ শাসন করেন তিনি। ১৯৯০ সালে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছাড়লেও আমৃত্যু রাজনীতিতে নিজের গুরুত্ব বজায় রাখেন। কারাগারে থেকে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে পাঁচটি করে আসনে জয়ী হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগকে সরকার গঠনে সমর্থন দেয় তার নেতৃত্বাধীন জাপা। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক হয়ে ভোটে অংশ নেয় জাপা। নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হন এরশাদ। একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির চেয়ে প্রায় চারগুণ বেশি আসন পায় জাপা। বিরোধীদলীয় নেতা হন এরশাদ। এ পদে থাকা অবস্থায়ই তার মৃত্যু হয়।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রংপুর জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। রংপুরে এইচ এম এরশাদের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, মিলাদ মাহফিল, কোরআন তেলাওয়াত, অসহায়-দুস্থদের মাঝে খাদ্যসহায়তা প্রদান ও উন্নত খাবার বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে।
দলের শীর্ষ ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এরশাদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবেন। কর্মসূচিগুলো হলো- বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ, নগরীর দর্শনা মোড় পল্লী নিবাসে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্যদিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতিহা পাঠ এবং বিকেল সাড়ে ৪টায় দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া দিনব্যাপী নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কোরআন তেলাওয়াত ও বাদ আসর বিভিন্ন মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। জেলার প্রতিটি পৌরসভা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
এসএ/