সাইফুলের যাদুর কাঠি ও মধুর বাক্স


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


সাইফুলের যাদুর কাঠি ও মধুর বাক্স

শুরুতে ২০০৮ সালে ১৪ টি মৌমাছির বক্স দিয়ে মধু চাষ শুরু করেছিল। এখন তার প্রতিষ্ঠানে প্রায় পাঁচ শতাধিক মৌমাছির বক্স রয়েছে। বর্তমানে মেসার্স মায়ের দোয়া মৌ খামার নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার। এ প্রতিষ্ঠানের নামে প্রতি মাসে বিভিন্ন কোম্পানিতে ৫০ থেকে ৬০ মণ মধু বিক্রি করছে সাইফুল এবং বছরে তার আয় হয় প্রায় অর্ধ কোটি টাকা।

কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার ছালিয়াকান্দি ইউনিয়নের বোরারচর গ্রামে একটি পুকুরের পাড়ে মৌ মাছির বক্স স্থাপন করে মধু সংগ্রহ করছে সাইফুল। তার স্থায়ী ঠিকানা সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলাধীন দক্ষিন শ্রীপুর গ্রামে। একই গ্রামের মৃত ছোরত আলী মোরলের ছেলে সে।

সাইফুল জনবাণীকে বলেন, ‍“আজ থেকে প্রায় ১৪ অথবা ১৫ বছর আগে মাত্র ১৪টি মৌমাছির বক্স নিয়ে আমি মধু চাষ শুরু করেছিলাম। এখন আমার খামারে ৫শতটি বক্স রয়েছে। ছয় মাস পূর্বে ১৬৮ টি বক্স নিয়ে  মুরাদনগরে এসেছি,এখানে এসেও ৩৪ টি নতুন বক্স স্থাপন করেছি। বর্তমানে কুমিল্লা,গোপালঞ্জ,ও মানিকগঞ্জে আমার মৌমাছির বক্স রয়েছে। প্রতি বক্স থেকে আমি এক  সপ্তাহে গড়ে দের থেকে দুই কেজি মধু সংগ্রহ করে থাকি,মাস শেষে বিভিন্ন কোম্পানিতে ৫০ থেকে ৬০ মণ মধু বিক্রি করতে পারছি। সকল খরচ বাদ দিয়ে প্রতি মাসে ৬০-৭০ হাজার টাকা সঞ্চয় করতে পারছি, সব মিলিয়ে মধু চাষ করে এখন আমি সাবলম্বী।”

ডাঃ দিলীপ রায় জনবাণীকে বলেছেন, “মধুর মধ্যে রয়েছে প্রচুর প্রচুর ভিটামিন কে , ফ্রুক্টোজ,আরো আছে মাঝারি এন্টিসেপ্টিক গুন সহ বিভিন্ন খাদ্যগুনাগুন। কেটে যাওয়া বা পুড়ে যাওয়া স্থানে মধু লাগিয়ে রাখলে কোন রকম ইনফেকশান হয়না, বরং কিছুক্ষণের মধ্যেই জ্বালা পোড়া ভাব কমে যায়।”

মধু বিষয়ে উপজেলা জামে মসজিদের মাওলানা আব্দুল কাদের জনবাণীকে বলেছেন, “সূরা মুহাম্মদের ১৫ আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, জান্নাতে স্বচ্ছ মধুর নহর প্রবাহিত হবে। নবী কারমি (সাঃ) বলেছেন, মধু হলো বিরহে এলাহি ও তিব্বে নব্বী অথার্ৎ খোদাই চিকিৎসা ও এর বিধানে রয়েছে।”

মুরাদনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাঈন উদ্দিন আহমেদ সোহাগ জনবাণীকে বলেছেন, “মৌমাছি ফসলে পরাগায়ন সৃষ্টি করে যার ফলে কৃষি জমিতে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। মধু চাষিরা তাদের মৌচাক বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করায় আমরা মধুর পাশাপাশি অধিক ফসল ঘরে তুলতে পারছি।”

এসএ/