উদ্ভাবন দিয়ে বিশ্বজয়ের প্রত্যয় আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
“প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে জীবনমুখী শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় ভাইয়ের পরামর্শে ২০১৬ সালে ইনোভেশন ডিজাইন অন্টারপ্রেনিউরশিপ একাডেমি তৈরি করা হয়। সেখান থেকে সফট স্কিল প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন স্বল্পশিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা হচ্ছে। স্বাধীনতার অকৃত্রিম বন্ধু ভারত ও উই এর মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক নারী অল অ্যাবাউট সফট স্কিলের মতো পদক্ষেপ নিয়ে এই প্রধানমন্ত্রীর সাশ্রয়ী, বুদ্ধিদিপ্ত, উদ্ভাবনী ও উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সহায়তা করছে। তাই আমরাও তাদের পাশে আছি। দেশের প্রত্যেকটি হাইটেক পার্কে তাদের জন্য একটি ডেটিকেটেড স্পেস ও সিড মানির ব্যবস্থা করা হবে।”
বুধবার (২০ জুলাই ২০২২) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটরিয়ামে উইমেন এন্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট (উই) আয়োজিত “অল অ্যাবাউট সফট স্কিল ট্রেনিং সিরিজ গ্র্যাজুয়েশন শ্রিমনি ২০২২” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় 'উই'-কে বাংলাদেশের অনন্য মডেল উল্লেখ করে এ ধরনের ‘উদ্ভাবন দিয়ে বিশ্বজয় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে স্মার্ট প্রজন্ম গড়ে তুলতে প্রযুক্তি নির্ভর এই নারী উদ্যোক্তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি আরও বলেছেন, “জয় ভাই চলনবিল থেকে আমাকে সিলিকন ভ্যালি পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। তার কাছ থেকে প্রতিমুহূর্তে আমি হাতে কলমে শিখি। প্রতিমুহূর্তে আপনাদের কাছ থেকে শিখি। এই জীবনমুখী শিক্ষাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার চেয়ে।”
এসময় আগামী ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে উই এর ৩০০ নারীকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান দেয়ার ঘোষণা দেন তিনি। বক্তব্য শেষে উইমেন ই-কমার্ম অন্টারপ্রেনিউশিপ সামিটের ডিজিটাল নিবন্ধনের উদ্বোধন করেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই-কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। উই প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো: আলতাফ হোসাইন ও উই গ্লোবাল এডভাইজার সৌম্যন বসু।
বক্তব্যে বিক্রম দোরাইস্বামী উপস্থিত নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, আমাদের ব্যবসায় ও উপস্থাপনায় নিজস্বতা থাকবে না। গুগল করে নয়; নিজের মতো করে প্রোপোজাল তৈরি করতে হবে। আমরা কপি করবো না, নতুন নতুন উদ্ভাবনের দিকে যাবো।
অনুষ্ঠানে উই মাস্টারক্লাসে অংশগ্রহণকারী ১৪ জন ২০ মিনিট ধরে ‘অল অ্যাবাউট সফটস্কিল’ উপস্থাপনা পরিবেশন করেন। এরা হলেন, অদিতি ঋতু, ফারাহ ইউসুফ দিবা, শেখ লায়লা পারভীন শান্তা,সামিনা চৌধুরী, শাকিলা জামান, নাসরিন সুলতানা তানিয়া, ওমেনা, সাফরিন, আইরিন আক্তার অ্যানি, ফারহানা আক্তার লাকি, জোস্না আক্তার রেনু, বন্নি, রেহনুমা তাবাস্সুম ও কশ্মিরি। এরপর অতিথিদের সম্মাননা স্বারক দেয়ার পর ৩৫০ জন মাস্টার গ্রাজুয়েটদের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়।
এসএ/