অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের ঝুলন্ত ও কনস্টেবলের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের ঝুলন্ত ও কনস্টেবলের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার

মাগুরার শ্রীপুরে উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রামে নানার বাড়ি থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাবনী আক্তারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অন্য দিকে মাগুরা পুলিশলাইন্সে মাহমুদুল হাসান নামে ওই কনস্টেবলের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। 

বুধবার (২০ জুলাই) রাত ১ টার দিকে মরদেহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকালে পুলিশ লাইন্সের ব্যারাকের ছাদ থেকে কনস্টেবলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। 

জানা গেছে,  লাবনী আক্তার খুলনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। তার বাবার বাড়ি বরালিদাহ গ্রামে। বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল আজম নাকোল রাইচন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক। লাবনী আক্তারের স্বামী মাগুরা সদর উপজেলার হাজিপুর গ্রামের তারেক রহমান বর্তমানে চিকিৎসার জন্য ভারতে রয়েছেন।

লাবনী আক্তারের বাবা শফিকুল আজম জনবাণীকে বলেন, “১৭ জুলাই এক সপ্তাহের ছুটিতে লাবনী গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসে। গ্রামের বাড়িতে এসে সে শ্রীপুর উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের সারঙ্গ দিয়া গ্রামে নানাবাড়িতে ছিল। বুধবার গভীর রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। সকালে ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায়, দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।”

আত্মহত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সাংসারিক বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে লাবনীর কলহ চলে আসছিল। স্বামীর সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছিল না। সেজন্যই হয়তো আমার মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।”

শ্রীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার বৃহস্পতিবার সকালে জনবাণীকে বলেন, “ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মাগুরা মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান তথ্য নিশ্চিত করেছে জনবাণীকে বলেন,“ নানার বাড়ি থেকে গলায় ওড়না পেঁচ্যানো অবস্থায় উনার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর কারণ এখনও জানা যায়নি। মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই আছে।”

এ দিকে মাহমুদুলের প্রতিবেশী ও সহকর্মী সূত্রে জানা যায়, বুধবার নাইট ডিউটি ছিল মাহমুদুলের। সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে ছাদে গিয়ে নিজের অস্ত্র দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন তিনি। 

লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান জনবাণীকে জানান, “রাতের ডিউটি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিয়ে নিজের নামে ইস্যু করা অস্ত্র দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন মাহমুদুল হাসান। এছাড়াও তার বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায়। দেড় মাস আগে তিনি বদলি হয়ে মাগুরায় আসেন বলে জানা গেছে।”

তিনি আরো বলেন, “লাশ দুটির ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”

জানা গেছে, এক সময় নিহত খন্দকার লাবনী’র দেহরক্ষী ছিলেন নিহত কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান। এ দু’টি আত্মহত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

এসএ/