বাবা মায়ের কবরের মধ্যে সঙ্গীত শিল্পী ফরিদা পারভীনের দাফন সম্পন্ন করা হবে

কুষ্টিয়ায় বাবা মায়ের কবরের মধ্যে ‘লালন সম্রাজ্ঞী’ খ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ফরিদা পারভীনের দাফন সম্পন্ন করা হবে। এদিকে কুষ্টিয়া পৌর গোরস্থানে ফরিদা পারভীনের কবর প্রস্তুত করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফরিদা পারভীন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৭৩ বছর। ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া এসে লাশ পৌছালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে জানাজা শেষে কুষ্টিয়া পৌর গোরস্থানে মা-বাবার পাকা কবরে তার দাফন সম্পন্ন করা হবে।
কুষ্টিয়া পৌর গোরস্থানে কবর প্রস্তুতের দায়িক্তে থাকা নুরু ইসলাম জানান, বেলা ১১টার দিকে রাজ্জাক নামের ফরিদা পারভীনের এক আত্বীয় এসে বাবা ডা. দেলোয়ার হোসেন ও মায়ের কবরের মধ্যে তাকে দাফন করার কথা জানালে আমরা ফরিদা পারভীনের দাফনের জন্য কবর প্রস্তত করেছি।
প্রসঙ্গত, ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়ায় জন্ম নেওয়া ফরিদা পারভীন বাবার চাকরির সুবাদে ছোটবেলা থেকে কুষ্টিয়ায় বড় হন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে ১৯৬৮ সালে পেশাদার সঙ্গীত জীবন শুরু করেন। ৫৫ বছরের সঙ্গীত জীবনে লালন সঙ্গীতে তিনি গড়ে তুলেছিলেন নিজস্ব এক ঘরানা। খাঁচার ভিতর অচিন পাখি ও বাড়ির কাছে আরশিনগরসহ বহু জনপ্রিয় লালনগীতি তার কণ্ঠে জীবন্ত হয়ে ওঠেছে। শ্রোতারা ভালোবেসে তাকে ‘লালনকন্যা’ উপাধি দিয়েছিলেন।
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
