কক্সবাজারে যানজট নিরসন, পরিচ্ছন্নতা, ধর্মীয়ি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় শিক্ষার্থীরা
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬:২০ অপরাহ্ন, ৭ই আগস্ট ২০২৪

কখনো রোদ, কখনো বৃষ্ট, এর মধ্যে ট্রাফিকের ভূমিকায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কক্সবাজার শহরের কলাতলী, বাজারঘাটা, গুনগাছতলা মোড়সহ জেলা শহরের প্রধান সড়কে সকাল থেকে দেখা মিলেছে এমন দৃশ্যের।
বুধবার (৭ আগস্ট) সাকালে দেখা মিলে সড়কে চলাচলকারি বিভিন্ন যানবাহনকে শৃঙ্খলা মেনে চলাচলের জন্য নিদের্শনা দিয়ে যাচ্ছে এসব শিক্ষার্থী। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে ট্রাফিক পুলিশ শূণ্য শহরে যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ভাগাভাগি করে দায়িত্ব পালন করছে তারা।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে কারামুক্ত ৫৯
শুধু তা নয় এসব শিক্ষার্থীর দেখা মিলেছে কক্সবাজার শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে সরিয়ে নিতে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠান দুইটির গেইটে থাকা পোষ্টার সরানো, দেয়াল লিখন মুছে দিয়ে রঙ করতেও দেখা মিলেছে বুধবার বিকালে।
এছাড়া কক্সবাজার কেন্দ্রিয় শহিদ মিনার, প্রধান সড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে জমে থাকা ময়লা আবর্জনাও সরিয়ে নিয়েছেন দিনভর। এছাড়া গ্রুপবদ্ধ হয়ে কক্সবাজার শহরের মন্দির, বৌদ্ধ বিহারেও নিরাপত্তা দিতে দেখা গেছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে শহরের প্রধান সড়কে যানজট নিরসনে কাজ করা কক্সবাজার সিটি কলেজের শিক্ষার্থী রিয়াজুল শামশু মায়া জানান, যানজট নিরসনে নিজের ইচ্ছায় সকাল থেকে অন্যান্যদের সাথে সড়কে কাজ করছে। সড়কে চলাচলকারি যানবাহন চালকরাও তাদের নিদের্শনা মেনে চলছে। এতে যানজট হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে কক্সবাজারের ২০০ গ্রাম প্লাবিত
অপর শিক্ষার্থী আনোয়রুল কবির জানান, ছাত্ররা চেয়েছিল শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ। ছাত্রদের দাবির প্রেক্ষিতে শান্তির পথে দেশ যাত্রা দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে সড়কে ট্রাফিক পুলিশের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করছেন। এটা করে খুবই আনন্দ পাচ্ছে।
এ শিক্ষার্থী বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় ছাত্রের আন্দোলন। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হামলা, ভাংচুর হচ্ছে। এটা থেকে সকলকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। যেন ছাত্রদের আন্দোলনে ম্লানের চিহ্ন না লাগে।
ছাত্রদের এমন উদ্যোগ দেখে খুশি অভিভাবক ও সাধারণ মানুষ। তাদের কেউ কেউ খাবারের প্যাকেট, পানি, খাদ্য সামগ্রী দিয়ে পাশে দাড়িয়ে উৎসাহ দিতেও দেখা গেছে। এসব শিক্ষার্থীরা চলমান পরিস্থিতিতে মন্দিরসহ ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয় পাহারা দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের ১৫ খাতে ৮ দিনে ব্যবসায়িক ক্ষতি ৭০০ কোটি টাকা
কক্সবাজার সার্বজনীন শ্রী শ্রী কৃষ্ণানন্দধাম মন্দিরের সভাপতি দুলাল চন্দ্র দে জানান, শিক্ষার্থীরা রাতে বিভিন্ন মন্দির পাহারা দিচ্ছে। নিয়মিত তারা যোগাযোগ করছে। শুরুর দিকে ভয়, আতংক থাকলেও এ পর্যন্ত কক্সবাজারে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
এসডি/
বিজ্ঞাপন
পাঠকপ্রিয়
আরও পড়ুন

খাগড়াছড়িতে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করলেন জিরুনা ত্রিপুরা

ত্রিপুরা সনাতনী গীতা সংঘের উদ্যোগে গীতা ও নৈতিক শিক্ষা বেসিক প্রশিক্ষণ

প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত: জিরুনা ত্রিপুরা

খাগড়াছড়িতে তিনদিন ব্যাপী জাতীয় ফল মেলা উদ্বোধন
