বৃষ্টিতে কক্সবাজারের ২০০ গ্রাম প্লাবিত
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬:৩৬ অপরাহ্ন, ৩১শে জুলাই ২০২৪
অব্যাহত বৃষ্টিতে কক্সবাজার জেলার অন্তত ২ শত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্ধি রয়েছে অন্তত ২ লাখের অধিক মানুষ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত এলাকা উখিয়া উপজেলায়।
কক্সবাজারে গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। কক্সবাজার আবহাওয়ার কার্যালয়ের সহকারি আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান জানিয়েছেন, বুধবার ( ৩১ জুলাই) সকাল ৬ টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় কক্সবাজারে ২৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামি ৩ দিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশংকার কথা জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভারী বর্ষণে কক্সবাজারের ৩০ গ্রাম প্লাবিত
বুধবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এতে কক্সবাজার পৌরসভার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশা-পাশি জলাবদ্ধতা দেখা গেছে শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রধান সড়কেও।
কক্সবাজার পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের শিক্ষক মোস্তফা সরওয়ার জানিয়েছেন, কুতুবদিয়া পাড়া, ফদনারডেইল, মোস্তাক পাড়া, নাজিরারটেক সহ ৮ গ্রাম পানিতে নিমর্জিত রয়েছে। এসব এলাকায় ১০ হাজারের বেশি পরিবার রয়েছে।
বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে কক্সবাজার শহরের গোলদিঘীরপাড়, বৌদ্ধ মন্দির এলাকা, কলাতলী, সদর ইউনিয়নের ঝিলংজা ইউনিয়নের ২০ টির বেশি গ্রাম। কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন সড়ক উপ-সড়কে প্লাবিত হয়ে, একপর্যায়ে অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসা বাড়িতেও ঢুকে পড়ে। এতে অনেক বাড়ি ঘরের আসবাবপত্র, দোকানের মালামাল নষ্ট হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের গহীন পাহাড় ঘীরে এলাকাবাসি উদ্ধার করল অপহৃত ৩ জনকে
কক্সবাজার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ. কে. এম তারিকুল আলম বলেন, জলাবদ্ধতা এই শহরে সবচেয়ে বড় সমস্যা। এই সমস্যা নির্মূলে পৌর মেয়রের নেতৃত্বে পৌর পরিষদ কাজ করে যাচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যে নাল নর্দমা দখল করে নির্মিত স্থাপনা ধ্বংস করে পুণরায় উদ্ধারের কাজ শুরু করেছি।
সবচেয়ে বেশি প্লাবিত এলাকা উখিয়া উপজেলায়। যেখানে দেড় শতাধিক গ্রামের দেড় লাখ মানুষ পানি বন্ধি থাকার তথ্য জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিরা।
হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস জানিয়েছেন, তার ইউনিয়নে ২০ গ্রামের ৩ হাজার পরিবার পানিবন্ধি রয়েছে। যেখানে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ রয়েছে। ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড পুরোটাই পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।
জালিয়াপালং ইউনিয়নের এসএম ছৈয়দ আলম জানিয়েছেন, তার ইউনিয়নের ১, ২, ৩, ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পুরো এলাকার মানুষ এখন পানিবন্দি। যেখানে ৫০ টি গ্রামের ৫০ হাজারের অধিক মানুষ রয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের আকাশে রোদ-মেঘের খেলা, বেড়েছে সাগরের পানির উচ্চতা
রাজাপালং ইউনিয়নের ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন, ওই ইউনিয়নের ৫০ গ্রামের ৩০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্ধি। রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকাও পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ভূমিধসের আশংকা দেখা দিচ্ছে।
একইভাবে পালংখালী ইউনিয়নের ৪০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। যেখানে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্ধি রয়েছে।
এসডি/