আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্প, প্রাণহানি বেড়ে ৬০০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১২:১৮ পিএম, ১লা সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৬০০ জনে পৌঁছেছে। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১.৫০০ জন। দেশটির পূর্বাঞ্চলে পাকিস্তান সীমান্তবর্তী কুনার প্রদেশে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে।
রবিবার (৩১ আগস্ট) গভীর রাতে সংঘটিত এই ভূমিকম্পটি ছিল রিখটার স্কেলে ৬.০ মাত্রার। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কুনার প্রদেশের নোরগাল জেলায়।
আরও পড়ুন: বিবিসি মানে ‘ভাই ভাই চ্যানেল’: সাংবাদিক মেহরুন্নিসা
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে এ খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
এদিকে আল জাজিরা বলছে, আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৬২২ জন নিহত এবং ১,৫০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয় জালালাবাদের পূর্ব-উত্তরপূর্বে ২৭ কিলোমিটার দূরে এবং ভূগর্ভের ৮ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের মূল কম্পনের পর আরও দুটি আফটারশক অনুভূত হয়, যার মাত্রা ছিল ৫.২।
এদিকে আফগানিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যম টোলোনিউজ প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, কুনারের মাজার ভ্যালিতে শত শত মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “শিশু, নারী ও প্রবীণরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন। বাইরের সহায়তা না পেলে তাদের বের করা সম্ভব নয়।
আফগান সরকারের অন্তর্বর্তী মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এক পোস্টে বলেন,‘দুঃখজনকভাবে আজকের রাতের ভূমিকম্পে আমাদের কয়েকটি পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, স্থানীয় প্রশাসন, নিরাপত্তা বাহিনী এবং সাধারণ জনগণ উদ্ধার কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকার এবং পার্শ্ববর্তী প্রদেশগুলো থেকে জরুরি সহায়তা পাঠানো হচ্ছে।
নানগারহার জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, আহতদের নিকটস্থ আঞ্চলিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, জীবন রক্ষায় সম্ভাব্য সকল সম্পদ কাজে লাগানো হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় খাদ্য, পানি, ওষুধ ও জরুরি তাঁবু সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিবিসি মানে ‘ভাই ভাই চ্যানেল’: সাংবাদিক মেহরুন্নিসা
ভূমিকম্পে ঘরবাড়ি ধসে পড়া, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগব্যবস্থা বিপর্যস্ত হওয়ায় দুর্গত এলাকায় মানবিক সংকট আরও ঘনীভূত হতে পারে। আন্তর্জাতিক সহায়তা জরুরি হয়ে উঠছে বলে স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন।
সূত্র: আনাদোলু, এনবিসি
এসডি/