Logo

কিডনি বিক্রি করে নির্বাচনের প্রচার করতে চান প্রার্থী!

profile picture
জনবাণী ডেস্ক
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ২৩:২৮
58Shares
কিডনি বিক্রি করে নির্বাচনের প্রচার করতে চান প্রার্থী!
ছবি: সংগৃহীত

তিনি চান, কিডনি বিক্রি করে ২০ হাজার ডলার সংগ্রহ করতে নির্বাচনী প্রচারণা চালাবেন।

বিজ্ঞাপন

ইন্দোনেশিয়ার আঞ্চলিক আইন পরিষদ নির্বাচন আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন হাজার হাজার প্রার্থী। তাদের মধ্যে একজ এরফিন দেউই সুদান্তো। গেল কয়েক মাস ধরে নিজের কিডনি বিক্রির চেষ্টা করছেন ৪৭ বছর বয়সী এই ব্যক্তি। উদ্দেশ্য নির্বাচনী প্রচারণার তহবিল সংগ্রহ। তিনি চান, কিডনি বিক্রি করে ২০ হাজার ডলার সংগ্রহ করতে নির্বাচনী প্রচারণা চালাবেন।

জানা যায়, ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভার বানিউওয়াঙ্গিতে ন্যাশনাল ম্যান্ডেট পার্টির পক্ষে ভোটে দাঁড়িয়েছেন তিনি। কিডনি বিক্রির মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দেন এরফিন। এরই মধ্যে তার সেই পোস্ট ভাইরাল হয়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

বিষয়টি নিয়ে এরফিন আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘এটি কেবল স্পর্শকাতর একটি বিষয় নয়। আমি সিরিয়াস। আমি দরিদ্র, সম্পত্তি নেই। (আমার প্রচারাভিযানের তহবিল সংগ্রহের) একমাত্র উপায় হল আমার কিডনি বিক্রি করা।’

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

দুই মাস ধরে প্রচারণা চালিয়ে যাওয়ায় ইন্দোনেশিয়ার নির্বাচনে প্রার্থিতার খরচ এ বছর যেকোনও সময়ের চেয়ে বেশি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণত ভোট গণনা তদারকি করার জন্য কিছু আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেও প্রার্থীদের অবশ্যই প্রচারণার জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থ খরচ করতে হয়- যার মধ্যে রয়েছে নির্বাচনী এলাকায় ভাষণ, প্রচারণার টি-শার্ট এবং স্মারকচিহ্ন।

এরফিন ধারণা করছে, প্রচারণার জন্য তার প্রায় ৫০ হাজার ডলার প্রয়োজন। সম্ভাব্য ভোটারদের সমর্থন সুরক্ষিত করার জন্য এর বেশিরভাগই ঘুষ হিসেবে দিতে হবে। অন্য কথায় একে ভোট কেনা বলা যেতে পারে।

বিজ্ঞাপন

ইন্দোনেশিয়ার আইন অনুযায়ী ভোট কেনা বেআইনি। এই অপরাধের জন্য শাস্তি হচ্ছে সর্বোচ্চ তিন হাজার ডলার জরিমানা এবং তিন বছরের জেল। তবে এরপরও ইন্দোনেশিয়ায় নির্বাচনের সময় এই চর্চাটি ব্যাপকভাবে হয়ে থাকে।

বিজ্ঞাপন

এরফিন বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে ভোট কিনতে চাই না। (কিন্তু) এটা আমাদের সমাজে প্রচলিত। কমপক্ষে (একজন প্রার্থী) প্রত্যেক ভোটারের জন্য তিন থেকে সাত ডলার বরাদ্দ রাখেন।’

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, কর্মকর্তাদের নজরদারির অভাবের কারণে ভোট কেনা অব্যাহত রয়েছে এবং এতে যোগ দেওয়া ছাড়া তার আর কোনও বিকল্প নেই আমার। সূত্র: আল জাজিরা

বিজ্ঞাপন

জেবি/এসবি

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD