এবার ঐতিহাসিক ইব্রাহিম মসজিদ বন্ধ করে দিলো ইসরায়েল

ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের সুক্কোট উৎসব পালনের সুযোগ করে দিতে মুসলিমদের অত্যন্ত পবিত্র স্থান ইব্রাহিম মসজিদ দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী বন্ধ করে দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (০৮ অক্টোবর) সকালে ইসরায়েলি সেনারা ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরের হেবরনে অবস্থিত এ মসজিদে যাওয়ার সব পথ বন্ধ করে দেয়। একই সঙ্গে, ইসরায়েলের কট্টরপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরের নেতৃত্বে দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে বসতি স্থাপনকারীরা অনুপ্রবেশ করেছে।
ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইব্রাহিমি মসজিদটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মুসলিমদের জন্য বন্ধ থাকবে।
বিজ্ঞাপন
হেবরনের আল-আওকাফা বিভাগের পরিচালক আমজাদ কারাজেহ এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মসজিদটি বন্ধ করে দখলদার ইসরায়েল এর পবিত্রতা লঙ্ঘন করেছে। এটিকে উস্কানিমূলক কাজ হিসেবে অভিহিত করে তিনি আরও বলেছেন, এর মাধ্যমে মুসল্লিদের ধর্মীয় অধিকার বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, ইসরায়েলি সেনারা মসজিদটিতে যাওয়ার সব চেকপয়েন্ট ও রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
উল্লেখ্য ইব্রাহিম মসজিদটি মুসলিমদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা তারা বিশ্বাস করে এখানে হজরত ইব্রাহিম (আ.), হজরত ইসহাক (আ.), হজরত ইয়াকুব (আ.), হজরত ইউসুফ (আ.) এবং তাদের স্ত্রীরা শায়িত আছেন।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গিভির মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন। এ সময় তিনি ঘোষণা দেন, এখন থেকে আল-আকসার মালিক ইসরায়েল।
বিজ্ঞাপন
তার এই ঘোষণার পর সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।
এছাড়া ইহুদিদের এই উৎসব উপলক্ষে ইসরায়েলি সেনারা হেবরনের জাবের, সালাইমেহ, ঘাইত এবং ওয়াদি আল-হুসাইন এলাকায় কারফিউ জারি করেছে। দখলদাররা এই এলাকাগুলোর সাধারণ মানুষকে বের হতে দিচ্ছে না এবং শিক্ষার্থীদের স্কুলেও যেতে দেয়নি। সূত্র: দ্য নিউ আরবের।