ট্রাম্প শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন কিনা জানা যাবে আগামীকাল

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যুদ্ধ ও সংঘাত থামানোর কৃতিত্ব দাবি করে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজেকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য প্রার্থী বলেও দাবি করেছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার (১০ অক্টোবর) শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করতে যাচ্ছে নোবেল কমিটি। বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।
এবার ট্রাম্প পুরস্কার পাচ্ছেন কিনা, তা নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, ট্রাম্পের পুরস্কার পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
বিজ্ঞাপন
ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি আটটি সংঘাত নিরসনে ভূমিকা রেখেছেন এবং ভারত-পাকিস্তানকে পারমাণবিক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরিয়ে এনেছেন। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, তার এসব দাবি অতিরঞ্জিত এবং অনেক নীতি আলফ্রেড নোবেলের শান্তি, সহযোগিতা ও নিরস্ত্রীকরণের আদর্শের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
সুইডিশ অধ্যাপক পিটার ওয়ালেনস্টিন মনে করেন, গাজা সংকটসহ নানা বিতর্ক এখনো তাজা থাকায় ট্রাম্পকে এ বছর শান্তি পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করা হবে না।
বিজ্ঞাপন
অসলোর পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান নিনা গ্রেগারও একই মত প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার, বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ—এসব কর্মকাণ্ড ট্রাম্পের শান্তির দাবিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
এ বছর শান্তি নোবেলের জন্য ৩৩৮ জন ব্যক্তি ও সংস্থা মনোনীত হয়েছেন। যদিও তালিকাটি গোপন, তবে আলোচনায় রয়েছে সুদানের স্বেচ্ছাসেবী নেটওয়ার্ক ইমার্জেন্সি রেসপন্স রুমস, প্রয়াত রুশ নেতা আলেক্সেই নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়া এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা অফিস ফর ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউশনস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস।
নরওয়েজিয়ান বিশেষজ্ঞ হালভার্ড লাইরা জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নোবেল কমিটি মানবাধিকার, গণতন্ত্র, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নারী অধিকারে জোর দিচ্ছে। তাই এবছরও অবিতর্কিত প্রার্থী নির্বাচনের সম্ভাবনাই বেশি। সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও রয়েছেন।