Logo

জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশের অঙ্গীকার: টেকসই উন্নয়নে হবে স্বচ্ছ কার্বন বাণিজ্য

profile picture
বশির হোসেন খান
১৪ নভেম্বর, ২০২৫, ২০:২৯
15Shares
জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশের অঙ্গীকার: টেকসই উন্নয়নে হবে স্বচ্ছ কার্বন বাণিজ্য
ছবি: সংগৃহীত

ব্রাজিলের বেলেমে অনুষ্ঠিত ৩০তম জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন (COP30)-এ বাংলাদেশের প্যাভিলিয়নে “Article 6 of the Paris Agreement: Pathways for Emission Reduction” শীর্ষক বিশেষ সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা আন্তর্জাতিক কার্বন বাজারে স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বিজ্ঞাপন

সেশনের সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাবিদ শফিউল্লাহ। প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জিয়াউল হক।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও CAPS চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার।

মূল প্রবন্ধে জানানো হয়, ২০২২ সালে বাংলাদেশের মোট গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ ছিল ২৫২ মিলিয়ন টন CO₂ সমতুল্য, যা বিশ্ব মোট নিঃসরণের মাত্র ০.৩৮%।

বিজ্ঞাপন

খাতভিত্তিক অবদান: শক্তি খাত: ৪৮.৮১%, AFOLU খাত: ৩৭.৮৩%, বর্জ্য খাত: ১০.৬৯%।

অধ্যাপক কামরুজ্জামান জানান, NDC 3.0 অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক সহায়তার মাধ্যমে ১৫% নিঃসরণ হ্রাসের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

তিনি বলেন, “Article 6 বাংলাদেশের সামনে আন্তর্জাতিক কার্বন বাজারে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে। তাই স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা ও সবুজ উন্নয়ন নিশ্চিত করাই হবে মূল চ্যালেঞ্জ।”

বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরিদা আখতার বলেন, “আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ভিত্তিতেই প্যারিস চুক্তির আর্টিকেল ৬ কার্যকর হবে। জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ তার সক্ষমতা বাড়াতে প্রস্তুত।”

সভাপতি নাবিদ শফিউল্লাহ বলেন, “Article 6 প্রযুক্তি স্থানান্তর, নির্গমন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, টেকসই পরিবহন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে।”

ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের কো-অর্ডিনেটর শরীফ জামিল বলেন, “সবুজ উন্নয়ন হতে হবে জনগণকেন্দ্রিক। কার্বন বাজার কেবল অর্থনৈতিক সুবিধা নয়—এটি বিশ্বব্যাপী ন্যায়সংগত ও স্বচ্ছ চুক্তির প্রতিফলন।”

বিজ্ঞাপন

সোমালিয়ার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী আহমেদ বলেন, “আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো একসঙ্গে কাজ না করলে বৈশ্বিক নিঃসরণ লক্ষ্য অর্জন কঠিন হবে। Article 6 আমাদের সেই সমন্বিত উদ্যোগের দিকনির্দেশনা দিচ্ছে।”

সমাপনী বক্তব্যে অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জিয়াউল হক বলেন, “কার্যকর কার্বন বাজার গঠনে গবেষণাভিত্তিক ডেটা, সঠিক নিঃসরণ তালিকা ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়ন জরুরি—এক্ষেত্রে এখনই প্রয়োজন ধারাবাহিক প্রস্তুতি।”

জেবি/আরএক্স
Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD