সৌদি যুবরাজের জন্য ট্রাম্পের নৈশভোজে ইলন মাস্ক

হোয়াইট হাউসে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে ঘিরে আয়োজিত আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে উপস্থিত হয়ে ফের আলোচনায় এলেন যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের ইলন মাস্ক।
বিজ্ঞাপন
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা ও তিক্ত সম্পর্কের পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এটি তার বিরল জনসম্মুখ উপস্থিতি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, মাস্কের অংশগ্রহণ দুই পক্ষের সম্পর্ক শীতল অবস্থা থেকে স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরতে পারে— এমন ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় ফেরেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনের আগেই তার প্রচারণায় জোরালো সমর্থন এবং বড় অঙ্কের আর্থিক সহায়তা করেছিলেন ইলন মাস্ক। পরে ট্রাম্প প্রশাসনে তিনি দ্রুতই প্রভাবশালী ব্যক্তিতে পরিণত হন। ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি’ (ডিওজিই)-এর নেতৃত্বও দেওয়া হয় তাকে, যার লক্ষ্য ছিল সরকারি ব্যয় সংকোচন।
বিজ্ঞাপন
তবে খুব বেশি দিন স্থায়ী হয়নি এই সুসম্পর্ক। ট্রাম্পের নতুন কর ও ব্যয় কাঠামোকে মাস্ক ‘হঠকারী ও অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর’ বলেই ঘোষণা করেন। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ভাবনাও প্রকাশ করেন তিনি। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ফেডারেল সরকার থেকে মাস্কের বিভিন্ন কোম্পানি যে বিপুল ভর্তুকি পায়— তা তিনি বন্ধ করে দেবেন।
এই রাজনৈতিক বিরোধ ও মাস্কের ডানপন্থী বক্তব্য টেসলার ব্র্যান্ড ইমেজ ও বিক্রিতে নেতিবাচক ছাপ ফেলেছে বলেও মনে করেন বিশ্লেষকেরা। ফলে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ট্রাম্প–মাস্ককে একসঙ্গে দেখা যায়নি। সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বর এক স্মরণসভায় তাদের সংক্ষিপ্ত করমর্দনই ছিল দুজনের শেষ জনসম্মুখ যোগাযোগ।
বিজ্ঞাপন
এদিকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জোরদার এবং যুক্তরাষ্ট্রে সৌদির ভাবমূর্তি শক্তিশালী করতে বর্তমানে ওয়াশিংটনে সফর করছেন যুবরাজ সালমান। তার সম্মানে দেওয়া নৈশভোজে পর্তুগিজ তারকা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবং এনভিডিয়ার সিইও জেনসেন হুয়াংসহ আরও কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব অংশ নেন।








