রসগোল্লা কম পড়ায় বিয়ে বাড়িতে তুমুল সংঘর্ষ

ভারতের বিহারের বুদ্ধগয়ায় রসগোল্লা কম পড়াকে কেন্দ্র করে বিয়ে বাড়িতে সৃষ্টি হয়েছে অভূতপূর্ব বিশৃঙ্খলা। মিষ্টির ঘাটতি নিয়ে শুরু হওয়া সামান্য অভিযোগ মুহূর্তেই দুই পরিবারের সংঘর্ষে রূপ নেয়। এরপর বিষয়টি গিয়ে ঠেকে আদালতের দ্বারপ্রান্তে— কনের পরিবার বরপক্ষের বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা করেছে।
বিজ্ঞাপন
ঘটনাটি ঘটেছে ১৯ নভেম্বর। বুদ্ধগয়ার একটি হোটেলে বিয়ের সব আচার–অনুষ্ঠান শেষ হয়েছিল শান্তিপূর্ণভাবেই। কিন্তু খাবার পরিবেশনের সময় রসগোল্লা কম পাওয়া নিয়ে বরপক্ষের কিছু সদস্য ক্ষোভ জানালে উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। অভিযোগ-আপত্তির মধ্যেই দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি বাড়তে থাকে। অবস্থা এমন পর্যায়ে যায় যে, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় বর–কনে দুই পক্ষের মানুষজন একে অপরকে ঘুষি, ধাক্কা, এমনকি চেয়ার দিয়ে আঘাত করছে।
হোটেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সামাল দিতে না পারায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণে অন্তত কয়েকজন আহত হন।
বিজ্ঞাপন
পরে কনের পরিবার থানায় অভিযোগ জানায় যে, বরপক্ষ শুধু বিশৃঙ্খলাই করেনি— কনেকে বিয়েতে দেওয়ার জন্য আনা গয়নার বাক্সও নিয়ে গেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই যৌতুক নির্যাতনের মামলা হয় বরপক্ষের বিরুদ্ধে।
তবে পাত্রের বাবা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সব ঝামেলাই হয়েছিল রসগোল্লা কম থাকা নিয়ে। আমরা বিয়েটা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত ছিলাম, কিন্তু কনের পরিবার অযথা বিষয়টি বড় করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
অন্যদিকে কনের মা দাবি করেন, আমরা মেয়ের জন্য যে গয়না এনেছিলাম, বরপক্ষই নিয়ে চলে গেছে। তাদের আচরণে আমাদের আর বিয়ে চালিয়ে যাওয়ার কোনো উপায় ছিল না।
বিজ্ঞাপন
কনের কাকা আরও জানান, দ্বন্দ্ব মিটিয়ে বিয়েটিকে রক্ষা করার জন্য তারা কয়েকবার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু দুই পক্ষের অভিযোগ– পাল্টা অভিযোগে শেষ পর্যন্ত কোনো সমঝোতা হয়নি।
মানুষের মাঝে হাস্যরসের খোরাক জোগালেও এই ঘটনাটি আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছে— বিয়ের মতো আনন্দ অনুষ্ঠানেও সামান্য বিষয় থেকে বড় সংঘর্ষ তৈরি হতে পারে, যদি দুই পক্ষের ধৈর্য ও সংযম হারিয়ে যায়।








