খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবরে যা বলছে ভারতের গণমাধ্যম

বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শোকের প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তার মৃত্যুর খবরটি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে ভারতের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।
বিজ্ঞাপন
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি তাদের প্রতিবেদনে জানায়, দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া মারা গেছেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসে সংক্রমণজনিত সমস্যায় গত ২৩ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর টানা ৩৬ দিন তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
এনডিটিভির প্রতিবেদনে তার রাজনৈতিক জীবনের নানা দিকও তুলে ধরা হয়। বলা হয়, ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসে তিনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন। তার শাসনামলে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু, রাষ্ট্রপতি শাসনব্যবস্থার পরিবর্তে সংসদীয় ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বাস্তবায়িত হয়। পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগে থাকা বিধিনিষেধ শিথিল করা এবং প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও বিনামূল্যে চালুর কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
খালেদা জিয়ার জন্ম ও পারিবারিক পরিচয় নিয়েও আলোকপাত করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৪৫ সালে ব্রিটিশ ভারতের জলপাইগুড়িতে তার জন্ম। দেশভাগের পর পরিবারটি তৎকালীন পূর্ববঙ্গের দিনাজপুরে বসবাস শুরু করে। তার বাবা ইস্কান্দার মজুমদার ছিলেন ব্যবসায়ী এবং মা তাইয়েবা মজুমদার ছিলেন গৃহিণী।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে দ্য হিন্দু জানিয়েছে, দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবরটি তার দল বিএনপির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। দলীয় বিবৃতির বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, মঙ্গলবার সকাল ৬টায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়াও পৃথক এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া মঙ্গলবার ভোরে ৮০ বছর বয়সে মারা যান। তারা জানায়, কয়েক মাস ধরেই তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল এবং তিনি ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।








