আপনার বসার ভঙ্গি কি হজম পক্রিয়ায় প্রভাব ফেলে?

আমরা বেশির ভাগ সময় ভাবি, খাবার খেয়ে নিলেই শরীর এর দায়িত্ব শেষ। এরপর শরীর সেই খাবারকে ভালোভাবে হজম করে নেবে। খাবার খাওয়ার পরেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। ভালো হজমের জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের শরীর যত বেশি নড়াচড়া করবে, হজম প্রক্রিয়া তত সহজ হবে।
বিজ্ঞাপন
কিন্তু যখন কেউ সামনের দিকে ঝুঁকে পড়েন বা একপাশে ঝুঁকে পড়েন, তখন পেটের গহ্বরের উপর চাপ পড়ে। এই শক্তি হজমের স্বাভাবিক প্রবাহকে ব্যাহত করে এবং এমনকী অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোর কার্যকারিতাকেও প্রভাবিত করতে পারে। বসা বা শোয়ার ভঙ্গি ভুল হলে হজমে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। যেমন:
১. পেট ফাঁপা এবং গ্যাস
পেটের উপর চাপ পড়লে তা আমাদের পাচনতন্ত্রকে খাবার হজম করার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা পেতে বাধা দেয়। ফলস্বরূপ, গ্যাস জমা হতে পারে এবং অস্বস্তিকর পেট ফাঁপা তৈরি করতে পারে।
বিজ্ঞাপন
২. অ্যাসিড রিফ্লাক্স
খাওয়ার পরে যদি আমরা ঝুঁকে থাকি, তাহলে আমাদের পেটের উপাদানগুলো খাদ্যনালীতে ফিরে আসার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এটি অ্যাসিড রিফ্লাক্সকে আরও বাড়িয়ে তোলে, বিশেষ করে যদি আপনি ইতিমধ্যেই এই সমস্যা অনুভব করেন।ে
বিজ্ঞাপন
৩. কোষ্ঠকাঠিন্য
অস্বাস্থ্যকর ভঙ্গিতে টয়লেটে বসে থাকলে পেলভিক ফ্লোর শক্ত হয়ে যায়, যার ফলে অন্ত্রের পক্ষে মল সহজে সরানো কঠিন হয়ে পড়ে। সোজা হয়ে বসলে তা কোলনকে সঠিক সারিবদ্ধ করতে সাহায্য করে এবং মলত্যাগ সহজ করে তোলে।
৪. ধীর বিপাক
বিজ্ঞাপন
ঝুঁকে বসে থাকার ভঙ্গি রক্ত সঞ্চালন এবং অক্সিজেনেশন কমিয়ে দেয়, যা উভয়ই কার্যকর বিপাকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধীরে ধীরে কিন্তু নিশ্চিতভাবে এটি কার্যকরভাবে ক্যালোরি পোড়ানোর মাধ্যমে শরীরের ওজন কমানোর ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
উন্নত হজমের জন্য যেভাবে বসবেন
বসা, দাঁড়ানো এবং নড়াচড়ার ক্ষেত্রে ছোটখাটো পরিবর্তন হজমশক্তিকে ব্যাপকভাবে উন্নত করতে পারে। আপনার যদি হজমে সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে তা ঠিক করার জন্য এই কাজগুলো করা বাদ দিতে হবে-
বিজ্ঞাপন
খাওয়ার সময় সোজা হয়ে বসুন: আপনার পেটের জন্য জায়গা তৈরি করার জন্য কাঁধ শিথিল রাখুন এবং পিঠ সোজা রাখুন।
খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়বেন না: খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়ার পরিবর্তে ধীরে ধীরে হাঁটুন বা বসুন যাতে হজম ব্যবস্থা ভালো হয়।
বিজ্ঞাপন
গভীর শ্বাস নিন: গভীরভাবে শ্বাস নেওয়ার অভ্যাস ডায়াফ্রামের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং পেটের উপর চাপ কমায়।
কর্মক্ষেত্রে এর্গোনমিক বসার অভিজ্ঞতা নিন: আপনার চেয়ার এবং ডেস্ক এমনভাবে রাখুন যাতে আপনার মেরুদণ্ড সোজা থাকে এবং পেট ভিতরে ঠেলে না যায়।
টয়লেটে বসার সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখুন: স্কোয়াটিং ভঙ্গি অনুকরণ করতে পারেন। সেজন্য হাই কমোডে বসলে পায়ের নিচে একটি ছোট টুল রাখতে পারেন। এতে আপনার মলত্যাগ করা সহজ হবে।