অ্যালার্জি থেকে বাঁচার জন্য যেসব খাবার খেতে পারেন

যে কোনো বয়সের মানুষেরই হতে পারে অ্যালার্জির সমস্যা। এটি শুধু রোগই নয়, বরং অনেক সময় এটি অন্য রোগের লক্ষণ হিসেবেও দেখা দিয়ে থাকে। ত্বকের অ্যালার্জি পরিচিত হলেও, খাদ্যনালী, শ্বাসনালী বা চোখের মতো সংবেদনশীল অঙ্গে অ্যালার্জি হলে তার ফল বয়াবহ আকারে ধারন করতে পারে।
বিজ্ঞাপন
অ্যালার্জি জনিত সমস্যার সঠিক কারণ খুঁজে বের করে দ্রুত চিকিৎসা করা জরুরি। তবে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক থাকলে অ্যালার্জি থেকে দূরে থাকা সম্ভব হতে পারে । পুষ্টিবিদরা অ্যালার্জির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনার চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যে ৫টি খাবার রাখলে আপনি সহজেই সুস্থ থাকতে পারেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেগুলো—
১. ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল ও সবজি
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: খাদ্যাভ্যাস কি সন্তান ধারণে প্রভাব ফেলে, জেনে নিন
ভিটামিন-সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি হিস্টামিন নামক রাসায়নিকের নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করে। এই হিস্টামিনই অ্যালার্জির উপসর্গ তৈরি করতে সহায়তা করে।
খাবার: আমলকী, কমলালেবু, স্ট্রবেরি, কিউই, পেঁপে, ক্যাপসিকাম ও ব্রকোলি ইত্যাদি ।
বিজ্ঞাপন
২. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত মাছ
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, বিশেষ করে EPA এবং DHA, শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি অ্যালার্জির উপসর্গ কমাতেও কার্যকর।
খাবার: স্যালমন, টুনা, ম্যাকেরেল বা অন্যান্য তৈলাক্ত সামুদ্রিক মাছ এবং উদ্ভিজ্জ উৎস হিসেবে আখরোট ও ফ্ল্যাক্সসিড (তিসি বীজ) খেতে পারেন।
বিজ্ঞাপন
৩. হলুদ
হলুদে থাকা প্রধান সক্রিয় উপাদান কারকিউমিন। এটি শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-অ্যালার্জিক। এটি অ্যালার্জির প্রদাহ কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
খাবার: কাঁচা হলুদের সঙ্গে চারটি গোলমরিচের দানা মিশিয়ে খালিপেটে খেতে হবে।
বিজ্ঞাপন
৪. প্রোবায়োটিকস
প্রোবায়োটিক হল উপকারী ব্যাকটেরিয়া, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উন্নত করে। অ্যালার্জি প্রতিরোধে অন্ত্রের সুস্থতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আরও পড়ুন: নিয়মিত লাউ খেলে ত্বকের যেসব উপকার হয়, জেনে নিন
বিজ্ঞাপন
খাবার: টক দই, কেফির, বাটারমিল্ক প্রভৃতি।
৫. কুয়ারসেটিন যুক্ত খাবার
কুয়ারসেটিন হল এক ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েড, যা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-হিস্টামিন হিসেবে কাজ করে এবং অ্যালার্জির কারণে হওয়া প্রদাহ কমাতে ভূমিকা রাখে।
বিজ্ঞাপন
খাবার: পেঁয়াজ (বিশেষত লাল পেঁয়াজ), আপেল (খোসা সহ), আঙুর, বেরি, ব্রকোলি, গ্রিন টি ইত্যাদি।
এই খাবারগুলো অ্যালার্জি কমাতে সহায়ক হলেও কোনো চিকিৎসার বিকল্প নয়। আপনার বা আপনার শিশুর গুরুতর অ্যালার্জির সমস্যা থাকে, তাহলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।