Logo

ইমিগ্রেশনের সময় যে ৭ কথা ভুলেও বলবেন না

profile picture
জনবাণী ডেস্ক
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২০:২২
16Shares
ইমিগ্রেশনের সময় যে ৭ কথা ভুলেও বলবেন না
ছবি: সংগৃহীত

বিদেশ ভ্রমণ অনেকের কাছেই জীবনের অনেক বড় স্বপ্ন। কিন্তু বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পার হওয়ার মুহূর্তটা অনেক সময় হয়ে ওঠে সবচেয়ে দুশ্চিন্তার। প্রয়োজনীয় সব নথি ঠিকঠাক থাকলেও সামান্য ভুল বা অসচেতনতা কোনো উত্তর যাত্রীর জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।

বিজ্ঞাপন

ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত থাকেন। তারা সহজেই যাত্রীর কথায় অসঙ্গতি, দ্বিধা বা সন্দেহজনক কিছু টের পেয়ে যান। ফলে ভুল সময়ে ভুল কথা বললে প্রবেশ জটিল হয়ে যেতে পারে, অপ্রয়োজনে ঝামেলায় পড়তে হতে পারে, এমনকি দেশে ফেরত পাঠানোও হতে পারে। তাই বিদেশ ভ্রমণের সময় ইমিগ্রেশন ডেস্কে কী বলা উচিত নয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা বেশ জরুরি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপ্রয়োজনীয় বা অস্পষ্ট উত্তর না দিয়ে সব প্রশ্নের জবাব দিন সংক্ষিপ্ত, স্পষ্ট ও ভদ্রভাবে। বিশেষ করে প্রথমবার বিদেশ যাত্রার সময় বাড়তি সতর্কতা নেওয়া ভালো।

এখানে তুলে ধরা হলো ইমিগ্রেশনের সময় ভুলেও না বলার মতো ৭টি কথা—

বিজ্ঞাপন

১. ‘আমি জানি না কোথায় থাকব’

পরিকল্পনার অভাব ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের কাছে বড় প্রশ্ন তুলে দেয়। তাই থাকার জায়গার স্পষ্ট প্রমাণ রাখতে হবে। হোটেল বুকিং, এয়ারবিএনবি ঠিকানা বা আত্মীয়ের বাসার তথ্য লিখিতভাবে সঙ্গে রাখুন। প্রয়োজনে ক্যানসেলযোগ্য বুকিং করলেও সেটি প্রমাণ হিসেবে দেখানো যায়।

বিজ্ঞাপন

২. ‘আমি এখানে কাজ করতে এসেছি’

আপনার হাতে যদি ওয়ার্ক ভিসা না থাকে, তবে কাজ করতে এসেছেন বলাটা বিপজ্জনক ভুল হতে পারে। ব্যবসায়িক সফর হলে স্পষ্টভাবে বলুন যে আপনি মিটিং, সেমিনার বা প্রশিক্ষণে অংশ নিতে এসেছেন। নিয়ম ভঙ্গ করলে ভিসা বাতিল পর্যন্ত হতে পারে।

৩. ‘আমি শুধু অনলাইনে পরিচিত এক বন্ধুকে দেখতে এসেছি’

বিজ্ঞাপন

এটি শুনতে খুব সাধারণ মনে হলেও অনেক সময় গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। কারণ, ইমিগ্রেশন অফিসাররা খুবই সন্দেহ করেন এমন সম্পর্ক নিয়ে। তাই স্পষ্টভাবে বলুন যে আপনি কোনও ‘বন্ধু’ বা ‘আত্মীয়’-র সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন এবং তাদের সম্পূর্ণ ঠিকানা প্রস্তুত রাখুন। যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, তাহলে অতিরিক্ত তথ্য ভাগ না করে প্রসঙ্গটি বলুন।

৪. ‘আমি সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি বুঝে নেব’

ভ্রমণ পরিকল্পনা সম্পর্কে অস্পষ্ট মন্তব্য ইমিগ্রেশন অফিসারদের কাছে আপনার অপ্রস্তুতি তুলে ধরে। আপনি যদি নির্দিষ্ট গন্তব্যও না জানেন, তবুও অন্তত একটি সাধারণ পরিকল্পনা তাদের সামনে তুলে ধরুন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি কোথায় যাবেন, কী কী স্থানে ভ্রমণ করবেন বা কোন শহরগুলোতে যাবেন।

বিজ্ঞাপন

৫. ‘আমার ফিরতি টিকেট নেই’

ফিরতি টিকিট না থাকলে কর্মকর্তারা ধারণা করতে পারেন যে, আপনি দেশটিতে অবৈধভাবে থেকে যাবেন। তাই অন্তত একটি রিফান্ডযোগ্য ফিরতি টিকিট সঙ্গে রাখুন। এটি আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনার প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে।

বিজ্ঞাপন

৬. ‘আমার কাছে যথেষ্ট অর্থ নেই’

আপনার কাছে পর্যাপ্ত টাকা নেই স্বীকার করলে বা এই প্রশ্নে ভুল করলে সন্দেহ তৈরি হবে। তাই সব সময় ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ক্রেডিট কার্ড, এমনকি প্রয়োজনে নগদ অর্থের মতো প্রমাণ বহন করুন। এসব প্রমাণাদি নিশ্চিত করে যে, আপনি আর্থিকভাবে সক্ষম এবংযে দেশে যাচ্ছেন তার ওপর বোঝা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

৭.ভুল কথা বললে কী হতে পারে?

বিজ্ঞাপন

ইমিগ্রেশনে ভুল উত্তর দিলে সরাসরি ফেরত পাঠানো নাও হতে পারে। তবে সেকেন্ডারি ইন্সপেকশনে পাঠানো, ব্যাগ তল্লাশি, দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ বা ভিসা বাতিলের মতো সমস্যায় পড়তে পারেন। কাজেই সব সময় মনে রাখবেন, আপনার কথার স্পষ্টতা ও সঙ্গতিই হলো সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা। সূত্র: এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।

জেবি/এমএল
Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD