তথ্য চুরি করে এনআইডি বিক্রি করতেন ইসির কর্মচারী জামাল

আর এসব কাজে তাকে সহযোগিতা করতেন লিটন মোল্লা
বিজ্ঞাপন
নির্বাচন কমিশনের তথ্য চুরি করে টাকার বিনিময়ে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারক চক্রগুলোর কাছে জাল জাতীয় পরিচয়পত্র বিক্রি করে আসছিলেন সংস্থাটির ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জামাল উদ্দিন। আর এসব কাজে তাকে সহযোগিতা করতেন লিটন মোল্লা।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
মো. আসাদুজ্জামান জানান, সোমবার (৬ মে) জামাল উদ্দিন ও লিটন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইসির ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন তথ্য চুরি করে লিটনের কাছে দিতেন জামাল। আর জাল সনদ তৈরির বাকি কার্যক্রম সম্পন্ন হতো তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট দিয়ে। এনআইডির পাশাপাশি ভুয়া জন্মসনদ এবং করোনা টিকার সার্টিফিকেট তৈরি করতো তারা।
তিনি বলেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের প্রতারক চক্রগুলো তাদের প্রধান গ্রাহক ছিলো। অবৈধ ট্রানজেকশনের জন্য ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলে অ্যাজেন্ট বা এই ব্যবসার সাথে জড়িত চক্র। আর সেইসব ভুয়া এনআইডি প্রস্তুত করে তাদের কাছে বিক্রি করতেন জামাল এবং লিটন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
সিটিটিসি প্রধান জানান, আমরা জানতে পেরেছি তাদের আরও একজন সহযোগী আছেন। যিনি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে ঢুকতে নতুন ওটিপি সরবরাহ করতেন প্রতিদিন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেই সহযোগীকে খুঁজছে।
এমএল/
বিজ্ঞাপন