Logo

সারাদেশে বজ্রপাতে প্রাণ গেল ১০ জনের

profile picture
জনবাণী ডেস্ক
২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:২৬
54Shares
সারাদেশে বজ্রপাতে প্রাণ গেল ১০ জনের
ছবি: সংগৃহীত

তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে

বিজ্ঞাপন

দেশের পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অনেকেই। 

সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে কুমিল্লার দুই উপজেলায় চারজন, কিশোরগঞ্জের দুই উপজেলায় তিনজন, নেত্রকোণায় একজন, সুনামগঞ্জে একজন ও চাঁদপুরে একজনের মৃত্যু হয়। জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যমতে-

বিজ্ঞাপন

কিশোরগঞ্জ

বিজ্ঞাপন

কিশোরগঞ্জের দুই হাওর উপজেলা অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে অষ্টগ্রামের হাওরে ধান কাটতে গিয়ে দুই কৃষক ও মিঠামইনে নিজের খলায় ধানের খড় ঢাকতে গেলে বজ্রপাতে এক নারীর মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন-অষ্টগ্রাম উপজেলার কলমা ইউনিয়নের হালালপুর গ্রামের মৃত জতীন্দ্র দাসের ছেলে ইন্দ্রজিত দাস (৩৫), খয়েরপুর-আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের খয়েরপুর গ্রামের ইদ্রিছ মিয়ার ছেলে স্বাধীন মিয়া (১৪) ও মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের রানীগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা মৃত আশ্রব আলীর স্ত্রী ফুলেছা বেগম (৬৫)। 

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

অষ্টগ্রাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন ও মিঠামইন থানার সহকারী উপপরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কুমিল্লা

বিজ্ঞাপন

বজ্রপাতে কুমিল্লার দুই উপজেলায় দুই স্কুলছাত্রসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও একজন। তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে দুপুরের মধ্যে বরুড়া ও মুরাদনগর উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিজ্ঞাপন

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার কোরবানপুর পূর্ব পাড়া কবরস্থানের পাশের মাঠে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়। তারা হলেন- উপজেলার দেওড়া গ্রামের জসিম উদ্দিন ভূইয়াঁর ছেলে জুয়েল ভূইয়াঁ (৩৫) ও কোরবানপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়া (কালীবাড়ি) এলাকার মৃত বীরচরণ দেবনাথের ছেলে নিখিল দেবনাথ (৬০)।

অন্যদিকে দুপুরে বরুড়া উপজেলার খোশবাস ইউনিয়নের পয়ালগুচ্ছ গ্রামে বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলো- ওই এলাকার মৃত খোকন মিয়ার ছেলে ফাহাদ হোসেন (১৩) এবং আব্দুল বারেক মিয়ার নাতি সায়মন হোসেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুজনই উপজেলার বড় হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। হালকা মেঘলা আবহাওয়ায় তারা মাঠে ঘুড়ি ওড়াচ্ছিল। আকস্মিক বজ্রপাতে মারাত্মক আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

সুনামগঞ্জ 

বিজ্ঞাপন

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় বজ্রপাতে রিমন তালুকদার (২২) নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রিমন তালুকদার শাল্লা কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতোই সকালে গরুকে ঘাস খাওয়াতে বাড়ির পাশের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে যান রিমন। এ সময় হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে তিনি নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এর মধ্যেই বজ্রপাতের শিকার হন। ঘটনাস্থলেই রিমন ও তার সঙ্গে থাকা গবাদিপশুর মৃত্যু হয়।

নেত্রকোণা

নেত্রকোণার মদনে আরাফাত মিয়া (১০) নামে এক মাদরাসার ছাত্র মারা গেছেন। সোমবার ভোর ৬টার দিকে উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের তিয়শ্রী গ্রামে নিজ বাড়ির সামনেই বজ্রপাতে মৃত্যু হয় তার। আরাফাত উপজেলার তিয়শ্রী গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে। 

মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অলিদুজ্জামান জানান, আরাফাত নামে এক মাদরাসা শিক্ষার্থীর বজ্রপাতে মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তার পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।

চাঁদপুর

কালবৈশাখী ঝড়ে চাঁদপুরের কচুয়ায় বজ্রপাতের বিকট শব্দে হার্ট অ্যাটাক করে বিশকা রানী সরকার  (৪৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার উত্তর কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের নাহারে গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বিশকা রানী সরকার চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৩নং ইউনিয়নের নাহারা গ্রামের পূর্বপাড়া মন্দির ওয়ালা বাড়ির হরিপদ সরকারের স্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টায় তারা স্বামী-স্ত্রী দুজন ধানের জমিতে কাজ করছিলেন। ওই সময় আকাশে মেঘ করে বজ্রপাত হয়। বজ্রপাতের শুনে স্ত্রী বিশকা রানী সরকার মাটিতে পড়ে যান। পরে তার স্বামী হরিদাস সরকার তাকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিশকা রানী সরকারকে মৃত ঘোষণা করেন।

কচুয়া থানা পুলিশের  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, মৃত বিশকা রানী সরকারের শরীরে বজ্রপাতের কোনো লক্ষণ পাওয়া যায় নাই। তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে । মৃতদেহ নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। এ মৃত্যু নিয়ে কারো কোনো  সন্দেহ না থাকায় সামাজিকভাবে সৎকারের জন্য অনুমতি প্রদান করা হয়।

হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে বজ্রপাতে আতঙ্কিত হয়ে মারা যেতে পারেন। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। 

কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বলেন, ওই গৃহবধূ বজ্রপাতের বিকট আওয়াজে হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত ডাক্তাররা। তবে এ নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

এমএল/

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD