দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণ পৃথক করে প্রজ্ঞাপন জারি

বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় এক ঐতিহাসিক পরিবর্তন এসেছে। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতকে সম্পূর্ণভাবে পৃথক করা হয়েছে। এর ফলে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি ও দীর্ঘসূত্রতা কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এতদিন জেলা আদালতগুলোতে যুগ্ম জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ এবং জেলা জজ এ তিন পর্যায়ের বিচারকদের একসঙ্গে দেওয়ানি ও ফৌজদারি (দায়রা) মামলা পরিচালনা করতে হতো। একই বিচারকের ওপর এই দ্বৈত দায়িত্বই মামলাজট ও বিচারিক প্রক্রিয়া দীর্ঘ হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ ছিল।
আরও পড়ুন: ২০২৬ সালের বইমেলা শুরু হবে ১৭ ডিসেম্বর
বিজ্ঞাপন
বর্তমানে দেশের অধস্তন আদালতে বিচারাধীন দেওয়ানি মামলার সংখ্যা প্রায় ১৬ লাখ এবং ফৌজদারি মামলা প্রায় ২৩ লাখ। ফৌজদারি মামলার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি হলেও বিচারকদের একইসঙ্গে উভয় ধরনের মামলা পরিচালনা করতে হয়, যার ফলে মামলা নিষ্পত্তি ধীরগতিতে চলে আসছে।
এই সমস্যার সমাধানে নতুন প্রজ্ঞাপনে ২০৩টি অতিরিক্ত দায়রা আদালত এবং ৩৬৭টি যুগ্ম দায়রা আদালত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এসব আদালতে বিচারকরা শুধুমাত্র ফৌজদারি মামলার বিচার করবেন। এতে বিচারকদের দ্বৈত দায়িত্বের অবসান ঘটবে এবং বিচার কার্যক্রমে কাঙ্ক্ষিত গতি আসবে।
বিজ্ঞাপন
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুগান্তকারী এই সিদ্ধান্ত জেলা পর্যায়ে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতকে সম্পূর্ণ পৃথক করবে। ফলে উভয় ধরনের মামলার নিষ্পত্তির হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে এবং দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা মামলাজট অনেকাংশে কমে যাবে।