চট্রগ্রামের ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানো নোটিশ

চট্রগ্রাম ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞাপন
অভিযুক্ত কর্মকর্তারা হলেন- চট্রগ্রাম ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন আতাউর রহমান ও ইন্সট্রাক্টর (সীম্যানশিপ) মেহেদী হাসান।
জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের উচ্চ মহল কর্তৃক একাধিক তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। এই অনিয়মের তদন্ত কাজে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন উপসচিব লুৎফর রহমান, সিনিয়র সহকারি সচিব আরিফা জোহরা ও বর্তমান উপ সচিব আবু সাঈদ তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন এবং সকলের তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রামের প্রিন্সিপাল ক্যাপ্টেন আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে ২টি এবং সীম্যানশিপ ইন্সট্রাক্টর মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে ৪টি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট চট্টগ্রামের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ গুলো হলো: ছাত্রদের ট্রেইনিং ব্লকের ওয়ার্কশপের ইমারজেন্সি ফায়ার এক্সিট বন্ধ করে সেখানে একটি দোকান বসানো; ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউটের পুকুরে বাণিজ্যিকভাবে মৎস্য চাষে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা; অভিযোগ দুটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রমাণিত হয়েছে, যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ২ (খ) অনুযায়ী অসদাচরণের শামিল।
বিজ্ঞাপন
অপরদিকে, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট চট্টগ্রাম এর ইন্সট্রাক্টর (সীম্যানশিপ) মেহেদী হাসান বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ গুলো হলো: টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম; অধ্যক্ষের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউটের পুকুরে বাণিজ্যিকভাবে মৎস্য চাষ; রিসিভিং কমিটির প্রধান হিসেবে নিম্নমানের মালামাল গ্রহণ সংক্রান্ত অভিযোগগুলো তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রমাণিত হয়েছে। যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ২ (খ) অনুযায়ী অসদাচরণের শামিল।
উল্লেখ্য, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত কারণ দর্শানো নোটিশ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ক্যাপ্টেন আতাউর রহমানের ছত্র-ছায়ায় ইন্সট্রাক্টর (সীম্যানশীপ) মেহেদি হাসান বর্তমানে বিভিন্ন মহলে অর্থের বিনিময়ে দেন দরবার ও তদবির করছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
ইন্সট্রাক্টর (সীম্যানশীপ) মেহেদী হাসান সরকারি চাকরিজীবী হয়েও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে গ্রিন স্কয়ার নামক রিয়েল এস্টেট কোম্পানির পরিচালক হয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এছাড়াও চট্টগ্রামের হালিশহরে নাবিক ভর্তি পরীক্ষার কোচিং সেন্টার খুলে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে করেন নিয়োগ বাণিজ্য।