Logo

বিভাগীয় তদন্তের মুখে একাধিক প্রকল্প পরিচালক

profile picture
মো. রুবেল হোসেন
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৮:০০
7Shares
বিভাগীয় তদন্তের মুখে একাধিক প্রকল্প পরিচালক
ছবি: সংগৃহীত

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একাধিক প্রকল্পে ৭০ শতাংশ অর্জন না হওয়ায় বিভাগীয় তদন্তের মুখোমুখি হতে হচ্ছে কয়েকজন প্রকল্প পরিচালককে।

বিজ্ঞাপন

এই প্রকল্পগুলো হলো- প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধিনে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প ও প্রাণিসম্পদ সক্ষমতা জোরদার করণ প্রকল্প এবং মৎস্য অধিদপ্তরের আওতাধীন সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিসারিজ প্রকল্প।

প্রকল্প বাস্তবায়নে অদক্ষতার জন্য গত ৮ জুলাই প্রকল্প পরিচালকগণকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় সাবেক সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো: তোফাজ্জল হোসেন।

নোটিশে বলা হয়, প্রকল্পসমূহের হিসেবে গত ৩০ জুন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিবি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রকল্প বাস্তবায়নে আর্থিক অগ্রগতির যে তথ্য প্রদান করেছেন তা মোটেই সন্তোষজনক নয়। মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতা ও বিভিন্ন সময় প্রদত্ত দিকনির্দেশনার পরও প্রকল্পের হতাশাজনক কার্যক্রমে মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়নে সার্বিক অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করেছে।

বিজ্ঞাপন

এতে আরও বলা হয়, উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দকৃত সুষ্ঠু ব্যবহার করে যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণকে উপযুক্ত সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে প্রকল্প পরিচালক মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। আপনি কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী সময়মতো বাস্তবভিত্তিক কার্যক্রম গ্রহণ না করে প্রকল্প বাস্তবায়নে অবহেলা প্রদর্শন করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়।

এলডিডিপি প্রকল্প সূত্র জানায়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতায় বাস্তবায়িত প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের একাধিক প্যাকেজ যেমন: প্যাকেজ ৯৭, প্যাকেজ ২৭, প্যাকেজ-২২বি এবং একাধিক মেট্রো পর্যায়ে স্লটার হাউজের দরপত্র আটকে দিয়ে ১০০ মিলিয়ন ইউএসডি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রলায় কতৃক নিযুক্ত কমিটি বাদ দেয়। ফলে এই সব প্যাকেজের একটি বৃহৎ পরিমাণ বরাদ্দ আটকে যায়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণারের মাধমে অবশিষ্ট অর্থ অবমুক্ত করার চেষ্টা করা হলেও এই অর্থ ইআরডি ফেরত নেয়নি।

এছাড়া এলসি এবং সিডি ভ্যাট জনিত জটিলতার কারণে ইন্টারন্যাশনাল টেন্ডারের বহু মালামাল যথা সময়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সরবরাহ করতে পারেনি। এমনকি সিডি ভ্যাটজনিত কারণে বর্তমানে অনেক প্যাকেজের মালামাল বন্দরে অবস্থান করলে খালাস করা সম্ভব হচ্ছে না। বিধায় গত ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে প্রকল্পের অর্জন হয়েছে ৭০ শতাংশ ফলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে একল্প পরিচালককে কারণ দর্শানো নোটিশ দিলেও যথাসময়ে দপ্তর উত্তর প্রদান করে।

বিজ্ঞাপন

আগস্টের পর জটিলতার কারণে একইভাবে প্রাণিসম্পদের সক্ষমতা জোরদারকরণ প্রকল্প এবং মৎস অধিদপ্তরে আওতাধীন সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিসারিজ প্রকল্পের অর্জন হয়েছে ৭০ শতাংশ।

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আইনসঙ্গত আদেশ অমান্যকরণ; কর্তব্যে অবহেলা প্রদর্শন এবং আইনসঙ্গত কারণ ব্যতিরেকে সরকারের কোনো আদেশ, পরিপত্র এবং নির্দেশ অবজ্ঞাকরণের সামিল যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ এর বিধির ৩(খ) অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর পর্যায়ভুক্ত শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অসদাচরণের দায়ে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার জবাব পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়।

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ার কারণে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এবং সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিসারিজ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানা যায়।

জেবি/এসএ
Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD