জুলাই আন্দোলনে কেউ ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিল না: আসিফ মাহমুদ

চব্বিশের জুলাই আন্দোলনের পেছনে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠী মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করেননি বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর চানখারপুলে ছয়জন নিহতের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সাক্ষ্য দিতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে বিকেল ৩টার দিকে তার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী সাদ্দাম হোসেন অভি জেরা শুরু করলে আসিফ মাহমুদ বলেন, “২০২৪ সালের ৫ জুন কোটাপ্রথা পুনর্বহালের রায়ের পর আমরা ৫৮ জন মিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু করি। এটি কোনো রাজনৈতিক দলের প্রভাবে ছিল না এবং নেতৃত্বেও কেউ এককভাবে ছিল না, সবাই সমন্বয়কের মর্যাদা পেয়েছিল।”
বিজ্ঞাপন
যোগাযোগের জন্য ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা হতো বলে জানান তিনি।
একদফা আন্দোলনের পেছনে বিদেশি সম্পৃক্ততার প্রশ্নে আসিফের জবাব, “বিদেশি কারও ইন্ধন ছিল না, আন্দোলনের সিদ্ধান্ত আমরা নিজেরাই নিয়েছি এবং আন্দোলনের খরচও নিজেদের ফান্ড থেকেই জোগাড় করেছি।”
তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন তিনি ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে ছিলেন এবং সেখান থেকে গুলির দৃশ্য স্পষ্টই দেখতে পেয়েছিলেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে গত ৯ অক্টোবরও এ মামলায় সাক্ষ্য দেন আসিফ মাহমুদ। সেদিন তিনি চানখারপুলে পুলিশের গুলিতে ছয়জন নিহতের ঘটনার বিবরণ দেন এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ সংশ্লিষ্টদের দায়ী করেন।
এই মামলায় আটজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন কারাগারে, আর চারজন পলাতক।
বিজ্ঞাপন
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট চানখারপুল এলাকায় শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে গুলি চালালে শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া শাহরিক নিহত হন।