চীন থেকে অস্ত্র ক্রয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা নেই

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, চীন থেকে অস্ত্র ক্রয় করলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বা অন্যান্য বিধিনিষেধে পড়ার কোনও আশঙ্কা বাংলাদেশ দেখছে না।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ তথ্য জানান।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ‘থিঙ্ক টোয়াইস অ্যাক্ট-২০২৫’ নামে একটি নতুন আইন প্রণয়ন করেছে, যা বিশ্বের দেশগুলোকে সতর্ক করে চীনের প্রতিরক্ষা খাত থেকে সমরাস্ত্র কেনা এড়াতে। এই আইনের আওতায় চীনের কাছ থেকে অস্ত্র ক্রয় করলে ওয়াশিংটনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বা অন্যান্য বিধিনিষেধের মুখোমুখি হতে হতে পারে।
বিজ্ঞাপন
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ সব সময় ভারসাম্যের নীতি অনুসরণ করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। আমরা কোনো দেশের প্রতি ঝুঁকে পড়ি না। তাই এমন কোনো নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ ভারসাম্যের নীতিতে বিশ্বাস করে এবং আন্তর্জাতিকভাবে দেশটি স্থিতিশীল নীতির অনুসারী।
এরই মধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশ চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ যুদ্ধবিমান ক্রয়ের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। পাশাপাশি দেশটি থেকে নতুন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল এবং দূরপাল্লার রাডার সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বিজ্ঞাপন
জাতিসংঘে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করা আপিল বিষয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, যে কেউ আপিল করতে পারে। এ নিয়ে জাতিসংঘ কিছু বললে আমরা তার উত্তর দেব।
এছাড়া তিনি ভারতের সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার ঘটনার পর ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশকে জড়ানোর বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন। এছাড়া মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিনিধি পাঠানোর পরিকল্পনা নেই বলে জানান।
বিজ্ঞাপন
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে সামরিক খাতে সম্পর্ক বাড়ালেও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বা কোনো আন্তর্জাতিক চাপের বিষয়ে দেশটি সতর্ক এবং ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখবে।








