পিআর পদ্ধতিতে গঠন হবে সংসদের উচ্চকক্ষ: প্রধান উপদেষ্টা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বেলা আড়াইটায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বিস্তারিতভাবে বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য আমরা গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ‘হ্যাঁ’ ভোটের ভিত্তিতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন করব। এই প্রতিনিধিরা একই সঙ্গে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন। সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করতে এই পরিষদ তার প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ থেকে ১৮০ কার্যদিবস পাবেন।
আরও পড়ুন: গণভোটে থাকবে যেসব প্রশ্ন
প্রধান উপদেষ্টা আরও জানান, সংবিধান সংস্কার শেষ হওয়ার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতে উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে। এই উচ্চকক্ষের মেয়াদ হবে নিম্নকক্ষের শেষ কার্যদিবস পর্যন্ত।
বিজ্ঞাপন
ভাষণের আগে, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বৈঠক করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ অনুমোদন করেছে। প্রয়োজনীয় স্বাক্ষর শেষে এটি গেজেট নোটিফিকেশন করার পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
ড. ইউনূস বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই আদেশে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে গণভোট আয়োজন এবং পরবর্তী সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন অন্যতম। আমরা সব বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ নির্বাচনের সঙ্গে মিলিয়ে গণভোটও ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে।
বিজ্ঞাপন
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণার ফলে দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নতুন এক বাস্তবায়ন কাঠামো স্থাপন হচ্ছে, যা ভোটার এবং রাজনৈতিক দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।








