তফসিল ঘোষণার পর যে বার্তা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই মাসের গণভোটের তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, এই তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অতিক্রম করেছে।
ড. ইউনূস বার্তায় আরও উল্লেখ করেন, ‘ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের পর দেশ যে নতুন পথে অগ্রসর হচ্ছে, এই নির্বাচন ও গণভোট সেই পথকে দৃঢ় করবে। গণমানুষের মতকে প্রাধান্য দেবে এবং নতুন বাংলাদেশের ভিত্তিকে আরও সুসংহত করবে।’
তিনি বিশ্বাস ব্যক্ত করেন যে নির্বাচন কমিশন তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব স্বাধীনভাবে, নিরপেক্ষভাবে এবং সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে পালন করবে।
বিজ্ঞাপন
এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে, যাতে নির্বাচন ও গণভোট উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক এবং সম্পূর্ণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।
ড. ইউনূস দেশবাসী ও রাজনৈতিক দলসমূহের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই নির্বাচন ও গণভোটকে একটি জাতীয় ঐক্যের উদ্যোগ হিসেবে গ্রহণ করুন। ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং গণতান্ত্রিক আচরণ আমাদের সামনের দিনগুলোকে আরও স্থিতিশীল করবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আজ নতুন ভবিষ্যতের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েছে। সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে আমরা একটি আধুনিক, ন্যায়ভিত্তিক ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র নির্মাণে সফল হব।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের শেষ সময় ১১ জানুয়ারি এবং আপিল নিষ্পত্তি হবে ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি।
চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ হবে ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে ২২ জানুয়ারি এবং শেষ হবে ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা পূর্বে, অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টা পর্যন্ত। ১২ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে ৩০০ সংসদীয় আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।








