জায়ান্ট স্ক্রিনে ভেসে উঠছে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিজয় সরণি এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোকের আবহ। শেষ বিদায়ের এই আয়োজনে জায়ান্ট স্ক্রিনে ধারাবাহিকভাবে প্রদর্শিত হচ্ছে তার দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের নানা স্মরণীয় মুহূর্ত।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরের আগ থেকেই বিজয় সরণি ও জানাজাস্থলের আশপাশে স্থাপিত একাধিক বড় পর্দায় খালেদা জিয়ার সংগ্রামী রাজনৈতিক পথচলার ভিডিওচিত্র প্রচার করা হয়। তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন, স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে নেতৃত্ব এবং দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরা হচ্ছে এসব দৃশ্যে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার শপথ গ্রহণ, সংসদে দেওয়া বক্তব্য, দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ এবং বিভিন্ন ঐতিহাসিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার চিত্র। এসব স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।
বিজ্ঞাপন
জায়ান্ট স্ক্রিনের সামনে জড়ো হওয়া মানুষের মুখে স্পষ্ট আবেগের ছাপ। অনেককে নীরবে দাঁড়িয়ে অশ্রুসিক্ত চোখে প্রিয় নেত্রীর স্মৃতি দেখতে দেখা যায়। প্রবীণ বিএনপি নেতাদের ভাষ্য, খালেদা জিয়া ছিলেন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের এক অনন্য প্রতীক, যার নেতৃত্বে দেশের রাজনীতিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচিত হয়েছে।
এদিকে জানাজাস্থল ও তার আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বড় পর্দার সামনে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্বেচ্ছাসেবক দল ও দলীয় কর্মীরা সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বিজ্ঞাপন
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, জানাজা শুরুর আগ পর্যন্ত স্মৃতিচারণমূলক এসব ভিডিও প্রদর্শন চলবে, যাতে দূরদূরান্ত থেকে আসা মানুষ শেষবারের মতো তাদের প্রিয় নেত্রীর জীবন ও আদর্শ স্মরণ করতে পারেন।
উল্লেখ্য, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস ও কিডনি জটিলতাসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ২৩ নভেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে নিউমোনিয়াসহ অন্যান্য জটিলতা দেখা দিলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩০ ডিসেম্বর তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।








