হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলের ১৪ সেনা আহত


Janobani

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০২:১৭ অপরাহ্ন, ১৮ই এপ্রিল ২০২৪


হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলের ১৪ সেনা আহত
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের একট সামরিক স্থাপনায় ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এতে ১৪ সেনা আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। 


লেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকজন সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে বুধবার (১৭ এপ্রিল) ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনায় ওই হামলা হয়।


আরও পড়ুন: তীব্র গরমে পশ্চিমবঙ্গে স্কুল বন্ধের ঘোষণা


হিজবুল্লাহ বলছে, তারা লেবানন সীমান্তের কাছে উত্তর ইসরায়েলের আরব-সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রাম আরব আল-আরামশে একটি নতুন সামরিক কমান্ড সেন্টারে ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিস্ফোরক ড্রোন দিয়ে সম্মিলিতভাবে হামলা চালিয়েছে।


অপরদিকে ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, আহত ছয় সেনার অবস্থা গুরুতর। ইসরায়েল এর আগে মঙ্গলবার লেবাননের দক্ষিণে বিমান হামলা চালায়। এতে তিনজন নিহত হয়। তাদের মধ্যে হিজবুল্লাহর একজন ফিল্ড কমান্ডার ইসমাইল ইউসেফ বাজও ছিলেন বলে জানা গেছে। ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তারা হিজবুল্লাহর দুই কমান্ডার এবং আরও এক সহযোগীকে হত্যা করেছে।


এর আগে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের দিকে ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে বিমান হামলার সাইরেন সক্রিয় করা হয়েছে।


এর আগে ইরান থেকে কয়েকশ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়। গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান।


সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তেহরান। দামেস্কে গত ১ এপ্রিলের ওই হামলার পরপরই কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল তারা।


তবে শনিবার রাতে হামলায় অংশ নেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই প্রায় সবগুলো অস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করেছে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং এর মিত্রবাহিনী।


আরও পড়ুন: ভারতের কাশ্মীরের ঝিলম নদীতে নৌকাডুবিতে নিহত ৪


ইরানের ছোড়া ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্রের ৯৯ শতাংশই ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইসরায়েল। তবে এই হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।


এদিকে ইরানের হামলার পর থেকেই চাপে আছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ইরানের হামলার জবাব কিভাবে দেওয়া হবে সে বিষয়ে দেশের অভ্যন্তরে এবং দেশের বাইরে থেকে তার ওপর চাপ বাড়ছে। সবকিছু মিলিয়ে বেশ জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।


জেবি/এজে