ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সর্বশেষ যে তথ্য জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:২৫ অপরাহ্ন, ১৮ই মে ২০২৪


ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সর্বশেষ যে তথ্য জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর
ছবি: সংগৃহীত

সারাদেশে চলমান তাপপ্রবাহ কিছুটা কমেছে। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে তা আরও কিছুটা প্রশমিত হতে পারে। এরপর সারাদেশ জুড়ে বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। আর এ সময়ের মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ তৈরির পূর্বাভাস রয়েছে।


আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হলে এর নাম হবে ‘রেমাল’। চলতি মাসের শেষের দিকে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানতে পারে বলেও জানিয়েছে তারা।


আরও পড়ুন: সকালের বৃষ্টিতে স্বস্তি ঢাকাবাসীর


আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির শনিবার (১৮ মে) বিকেলে সংবাদমাধ্যমকে জানান, সাধারণত মে ও জুন মাসে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়ে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় ২০ তারিখের পরবর্তী সময়ে একটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে। আর এটি আরও ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হওয়ার আগ পর্যন্ত এর গতিবিধি ও প্রভাব সম্পর্কে এখনই কোনো কিছু বলা যাবে না। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এর ওপর সার্বক্ষণিক দৃষ্টি রাখছে।


আরেক আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। লঘুচাপ এখনও পর্যন্ত সৃষ্টি হয়নি। তাই আমরা এখনই ঘূর্ণিঝড়ের কথা বলতে পারছি না। তবে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি সবসময়।


আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হচ্ছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, আঘাত হানতে পারে যে সময়


এদিকে ভারতের আবহাওয়া অফিস বলছে, ভারতের তামিলনাড়ুর দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলের কাছাকাছি একটু ঘূর্ণিবার্তা হওয়ার প্রক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। আগামী সাত দিনে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।


উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মে মাসে বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। সুন্দরবনের কারণে সে যাত্রায় রক্ষা পেয়েছিল দেশের উপকূল। এর আগে ২০০৯ সালের মে মাসেই সুন্দরবনে আঘাত হেনেছিল প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় আইলা।


এমএল/