এমপি আনার হত্যা: তিন আসামি ৮ দিনের রিমান্ডে


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:২৩ অপরাহ্ন, ২৪শে মে ২০২৪


এমপি আনার হত্যা: তিন আসামি ৮ দিনের রিমান্ডে
ছবি: সংগৃহীত

কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত তিন আসামির আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।


শুক্রবার (২৪ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন তিনি।


তিন আসামি হলেন- শিমুল ভুইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুইয়া ওরফে আমানউল্লাহ সাঈদ, তানভীর ভুইয়া এবং শিলাস্তি রহমান।


আরও পড়ুন: এমপি আনার খুন: মুখ খুললেন প্রধান অভিযুক্ত শাহিন


এদিন এই তিন আসামিকেই আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান তাদের দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের আট দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।


এদিকে, এমপি আনার কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনের যে ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন তার একটি সিসিটিভি ফুটেজ গণমাধ্যমের হাতে এসেছে। ফুটেজে দেখা যায়, এমপি আনার দুইজনের সাথে সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু জীবিত আর বের হননি।


ফুটেজ অনুযায়ী, সোমবার (১৩ মে) দুপুর ২টা ৫১ মিনিটে সঞ্জীবা গার্ডেনের আলোচিত সেই ফ্ল্যাটে ঢোকেন এমপি আনার। এ সময় তার সাথে ছিলেন শিমুল ভুঁইয়া ও তার সহযোগী ফয়সাল। এমপি আনার বেশ শান্তশিষ্টভাবে দরজার বাইরে র‍্যাকে তার জুতা রাখেন। এরপর ফ্ল্যাটে ঢোকেন তিনি।


কয়েক ঘণ্টা পর বের হয়ে আসেন শিমুল ভুঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহ, হাতে ছিল একটা লাগেজ। এরপর তার সাথে পলিথিনের ব্যাগ হাতে বের হন আরেকজন। বের হওয়ার সময় শিমুল দরজা দিয়ে লক করে দেন। লিফট দিয়ে নেমে তারা বের হয়ে যান।


আরও পড়ুন: এমপি আনার হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা দিল ডিবি


গোয়েন্দা সূত্রে বলা হয়, এমপি আনার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামানের কলকাতায় যাওয়ার দুই মাস আগেই জিহাদকে ডেকে আনা হয়। জিহাদ জানিয়েছে- আখতারুজ্জামানের নির্দেশে তিনিসহ চারজন এমপি আনারকে ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। হত্যার পর এমপি আনারের শরীর থেকে মাংস এবং হাড় আলাদা করে জিহাদ। পরে মূলত পরিচয় নষ্ট করার জন্য এমপির মাংস কিমা করে তা প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখা হয়। আর হাড়গুলোকে ছোট ছোট টুকরো করে নেওয়া হয়। পরে ওই ব্যাগগুলো ফ্ল্যাট থেকে বের করে নানা ধরনের যানবাহন ব্যবহার করে কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে ফেলে দেওয়া হয়।


পুলিশ জানিয়েছে, জিহাদ হাওলাদার (২৪) একজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। তার বাড়ি খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানায়। তার বাবার নাম জয়নাল হাওলাদার। তবে জিহাদ বসবাস করত ভারতের মুম্বাই শহরে। সেখানে সে একটি মাংসের দোকানে কসাইয়ের কাজে নিয়োজিত ছিল।


এমএল/