উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় রেমালের অগ্রভাগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১৬ অপরাহ্ন, ২৬শে মে ২০২৪
উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় রেমালের অগ্রভাব। ফলে দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিসহ ঝড়োহাওয়া বয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সুন্দরবন তলিয়ে গেছে। পটুয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ রাঙ্গাবালী উপজেলার প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উপকূলীয় জেলাগুলোতে দমকা বাতাস ও বৃষ্টি ঝরতে শুরু করেছে। এ সমস্ত এলাকার সাগর ও নদী বিক্ষুব্ধ রয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা ৬টার পরবর্তী ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা অর্থাৎ রাত ৯-১০টার দিকে এর কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করবে।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যঅনুযায়ী, উপকূলীয় খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা ও পটুয়াখালী অতিক্রম করবে ঘূর্ণিঝড়টি।
অধিদফতর জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ আঘাত হানতে শুরু করলেও সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরের তিন থেকে চার ঘণ্টায় তাণ্ডব চালিয়ে রেমালের কেন্দ্র স্থলভাগে ওঠে আসতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে কেন্দ্রেই থাকে প্রচণ্ড শক্তি।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি এড়াতে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।
কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, চাঁদপুর, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরএবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আবহাওয়ার ১৩ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তি
আবহাওয়া অধিদফতরের ১৩ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। সারা দেশেই ভারী বর্ষণ হতে পারে। এতে পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।
রেমালের অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, কুমিল্লা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমালের ‘চোখ’ ফুটেছে, তাণ্ডবের আশঙ্কা
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা বা ঝড়োহাওয়াসহ ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।
জেবি/এসবি