সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন, ৩১শে মে ২০২৪


সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি
ছবি: সংগৃহীত

ভারত থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সিলেটে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে জেলার পাঁচটি উপজেলা এবং পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় তিন লাখ মানুষ। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার ৫ হাজার ৬০১ হেক্টর জমির ফসল। ৪৭০ আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে সিলেট শহরের বিভিন্ন এলাকা।


শুক্রবার (৩১ মে) পরিদর্শনে দেখা যায়, জেলার গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট উপজেলার পর নতুন করে জকিগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উজান  থেকে নেমে আসা ঢলে তলিয়ে গেছে সিলেট-তামাবিল সড়ক। জেলা সদরের সাথে সড়ক যোগাযোগ অনেকটা বন্ধ হয়ে পড়েছে গোয়াইনঘাট উপজেলা সদরের সাথে।


এ দিকে সিলেট নগরীর নিচু অঞ্চলগুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এখানকার মানুষজন। নগরীর তালতলা, কাজিরবাজার, উপশহর, মাছিমপুর, সোবহানীঘাট, মেন্দিবাগ, আলমপুর এলাকায় বন্যার পানি ঢুকছে।


আরও পড়ুন: গোয়াইনঘাটে আকস্মিক বন্যায় হাওর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত


সিলেট আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানাগেছে, চলতি মাসে সিলেট অঞ্চলে দ্বিগুণেরও বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত বছরের মে মাসে ৩৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল সিলেটে। আর চলতি বছরের মে মাসে বৃষ্টি হয়েছে ৭০৫ মিলিমিটার। এর আগে ২০২২ সালের প্রলয়ঙ্করী বন্যার সময়ে মে মাসে সিলেট এলাকায় ৮৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল।


সিলেট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ‘সুরমা, কুশিয়ারা, গোয়াইন ও সারি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাড়ছে অন্যান্য নদ-নদীর পানিও। বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে।’


এ বিষয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, ‘অনেক এলাকার পানিবন্দি মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে ও নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে। জেলার পাঁচটি উপজেলায় জরুরি ভিত্তিতে প্রায় ৪৭০টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। প্রয়োজনে তা আরও বাড়ানো হবে।’


আরও পড়ুন: কবি রাধারমন দত্তের ১৯১তম জন্মতিথিতে ধামাইল গান উৎসব


তিনি বলেন, ‘বন্যা কবলিত এলাকায় ১ হাজার বস্তা শুকনো খাবার, ৭৫ টন চাল ও আড়াই লাখ টাকার ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে ইতোমধ্যে।’


এমএল/