গুলিবিদ্ধ অনেকের মাথার খুলি ছিল না: ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫২ পিএম, ২০শে আগস্ট ২০২৫

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নিউরো সায়েন্স হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাহফুজুর রহমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়ে বলেন, ২০২৪ সালের ১৬ জুলাইয়ের পর থেকে মাথা ও বুকে গুলিবিদ্ধ রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকে। এ সময় হাসপাতালে মারা যান ৩৩ জন রোগী। শুধু তাই নয়, চিকিৎসা নিতে আসা ১৬৭ জনের অনেকেরই মাথার খুলি উড়ে গিয়েছিল।
বুধবার ষষ্ঠ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণে ১৩তম সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি আরও জানান, জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চিকিৎসা প্রদানে বাধা দেয়। ডিবির একটি দল হাসপাতালে এসে গুলিবিদ্ধ রোগীদের চিকিৎসা না দিতে ও ছাড়পত্র না দিতে চিকিৎসকদের হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: এসআই সাজ্জাদের জামিন স্থগিত, আত্মসমর্পণের নির্দেশ
তার ভাষ্যমতে, নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে মোট ৫৭৫ জন আহতকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি হন আটজন, যাদের মধ্যে একজন মারা যান এবং বাকি সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়া তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক রোগীর পরিচয় ও আহত হওয়ার কারণ গোপন রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। এর আগে আরেকজন সাক্ষী দাবি করেছিলেন, পঙ্গু হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে শেখ হাসিনা চিকিৎসকদের নির্দেশ দেন- “নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ।”
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় গ্রেফতার অভিনেতা সিদ্দিক
একইদিন রাজধানীর চাঁনখারপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলারও সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকালে কারাগারে থাকা আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এএস