রাঙামাটিতে দেশের প্রথম কলা গাছের সুতা দিয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরি
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৫১ পিএম, ৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাঙামাটিতে দেশের প্রথম কলা গাছের সুতা দিয়ে ন্যাপকিন তৈরি হচ্ছে। পরিবেশ বান্ধব স্থাস্থ্য সম্মত পুন:ব্যবহারযোগ্য স্যানিটারি ন্যাপকিন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইউমেন্স এডুকেশন ফর অ্যাডভান্সমেন্ট (ইউভ) রাঙামাটি শহরে রাজবাড়ী এলাকায় ছোট পরিসরে হলেও সরেজমিনে স্পট পরিদর্শনে বাস্তব দৃশ্য চমৎকার ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
কলা গাছের আশ রুদ্রে শুকিয়ে প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে জীবানুমুক্ত মেশিনে আল্ট্রাভয়োলেট রশ্নি তৈরি করা হচ্ছে স্যানিটারি ন্যাপকিন। এতে সহযোগিতা করছে আরএসএফ সোশ্যাল ফাইন্যান্স।
ইউভের নিবার্হী পরিচালক নারী জনপ্রতিনিধি জেলা পরিষদের সদস্য নাউপ্রু মারমা বলেন, বিশ্বজুড়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, আমি বিভিন্ন দেশে গিয়েছি, ভারতের আহম্মেদরাবাদ কলা গাছের আশ দিয়ে ন্যাপকিন তৈরির প্রযুক্তিগত দেখে আসছি। পাহাড়ে কলাগাছের সহজ লভ্য রয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারী ও কিশোরীদের নিয়ে কাজ করছি। পিছিয়ে পড়া নারীরা অর্থনীতিভাবে স্বাভলম্বী নয়। মাসিক চলাকালিন সময়ে নানাভাবে সময় পার করে।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হৃদয়স্পর্শী মুহূর্ত: পচি খাতুনের শেষ ইচ্ছা পূরণ
অপর সম্ভবনাময় পাহাড়ে বিভিন্ন জাতিগোষ্টী তাদের জীবন ধারনের জন্য প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন রকমের নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য তৈরি করে আসছে। এ ধারাবাহিকতায় নিত্য নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন দেশে এ প্রথম পাহাড়ে কলা গাছের আশ দিয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরি করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে রাঙামাটির ইউভ।
রাঙামাটিতে এ প্রথম দেশে কলাগাছের আঁশ থেকে স্যানিটারি ন্যাপকিন। প্রকৃতি পাহাড়ের নারীদের কাছে স্যানিটারি ন্যাপকিন সহজলভ্য নয়। বিশাল এই জনগোষ্ঠীর জন্য স্বল্প মূল্যে ও সহজে ব্যবহার উপযোগী স্যানিটারি প্যাড তৈরি করছে প্রকৃতি। কলা গাছের সুতা দিয়ে পুন:ব্যবহারযোগ্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রযুক্তি আলো ছড়াচ্ছে আরএসপি। আরএসএফ সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের নারী ও কিশোরীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা যেমন নিশ্চিত হবে, তেমনি এই অঞ্চলে তৈরি হবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃস্টি হবে। বড় কোনো প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তি নির্ভর সহায়তা পেলে দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে সেনিটারি ন্যাপকিন। বিএসটিএ অনুমোদনের পরে বাজারজাত করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
এসএ/