বসন্ত বরণে ঢাকা কলেজে পিঠা উৎসব

পদ্মশ্রী পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সংগীতজ্ঞ অধ্যাপক ড. রেজওয়ানা চৌধুরি বন্যা।
বিজ্ঞাপন
আল জুবায়ের: ভালোবাসার বসন্তের পিঠা উৎসব’। ‘ভালোবাসা’ ও ‘বসন্ত’র মতো রোমান্টিক শব্দযুগলের সঙ্গে বাঙালির চিরায়ত রসনা অনুষঙ্গ ‘পিঠা’র উপস্থিতি যে একটি আয়োজনকে কতটা বর্ণিল করে তোলে, তা উপলব্ধি করলেন উৎসবে আসা দর্শকরা।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলা মাস মাঘের শেষদিনে বসন্ত ও পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করে পদ্মশ্রী পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সংগীতজ্ঞ অধ্যাপক ড. রেজওয়ানা চৌধুরি বন্যা।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বসন্ত বরণ-পিঠা উৎসব ও জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মেতে উঠেছে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাস । নানান রঙের শাড়ি-পাঞ্জাবি পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে পা রাখতেই চারদিকে ছড়িয়েছে উৎসবের আমেজে।
এ সময় সংবর্ধিত অতিথি এবং অনুষ্ঠানের সভাপতি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ পিঠা স্টলগুলো ঘুরে দেখেন এবং পিঠা উপভোগ করেন। এর আগে বিএনসিসি প্লাটুন আমন্ত্রিত অতিথিকে ঢাকা কলেজের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার ও ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে।
বিজ্ঞাপন
সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত ঢাকা কলেজ অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী এ পিঠা উৎসব পালিত হয়। এ উৎসবে কলেজের ১৯টি বিভাগের শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকে স্ব স্ব বিভাগ পিঠার স্টল দেওয়ার মাধ্যমে অংশগ্রহণ করে। বাহারী নাম ও দেশীয় সাজসজ্জায় হরেক রকমের প্রায় অর্ধশতাধিক পিঠাপুলির আয়োজন ছিল পিঠা উৎসবে। এর মধ্যে গ্রামীণ বাংলার ঐতিহ্যকে ধারণ করে কলেজের বাংলা বিভাগের স্টল ছিল বৈচিত্র্যময় আর্কষণীয় সাজসজ্জায় সজ্জিত। প্রতিটি পিঠা স্টলে ছিল শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড়।
বিজ্ঞাপন
উৎসবে পিঠা মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল-বিবিখানা পিঠা, মিষ্টি পাতা, ঝিনুক পিঠা, অঙ্কুন পিঠা, নকশি পিঠা,পাটিসাপটা, সুপ পুলি, ভাপা পুলি, চন্দনকুলি, মেয়ে ভুলানো, লজ্জাবতী, নদের চাঁদ, ডালিম কুমার, বেহুলা, সতীন মোচড়া, স্বামী বশী, লবঙ্গশাহী ফরনি, তেলের, মাংসি পুলি সবঝি, পাকোড়া, চৈ পিঠা, ফুলপিঠা, চিতইসহ হরেক রকমের পিঠা।
বিজ্ঞাপন
আরএক্স/
বিজ্ঞাপন








