Logo

ইবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে

profile picture
জনবাণী ডেস্ক
২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ০৪:২৭
82Shares
ইবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে
ছবি: সংগৃহীত

উভয়ই শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের অনুসারী।

বিজ্ঞাপন

মংক্যচিং মারমা, ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান তাকে গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেছে অভিযুক্তরা। ভুক্তভোগী আবু জাহেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অপরদিকে অভিযুক্তরা হলেন উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রতন রায় ও রিহাব রেদোওয়ান। ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, তারা উভয়ই শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের অনুসারী।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

লিখিত অভিযোগ পত্রের সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়ায় যাওয়ার জন্য দুপুর তিনটার বাসে উঠে ভুক্তভোগী। সে একটা সিটে বসা ছিল তারপাশে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী রতন রায় বসা ছিল। পরে রতন নিচে গিয়ে কয়েকজন বন্ধ-বান্ধবী নিয়ে পুনারায় সিটে বসতে আসে। এসময় সে ভুক্তভোগীকে পাশের সিটে সরে যেতে বললে সে এতে অস্বীকৃতি জানায়। এসময় উভয়ের মাঝে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রতন তার গলাটিপে ধরে রাখে। সেই সাথে তার বন্ধু রিহাব রেদোওয়ান তার চোখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেয়। পরে বাসের সবাই চিল্লাচিল্লি করে তাকে ছাড়িয়ে নেয়। এভাবে আর ৯ বা ১০ সেকেন্ড থাকলে মারা যেতাম বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

তবে মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে জানান অভিযুক্ত রতন রায়। তিনি বলেন, আমরা যদি তার গলাটিপে বা চোখ আঙ্গুল দিতাম তাহলে তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকার কথা। আমরা এই বিষয়ে প্রক্টর স্যারের নিকট একটি অভিযোগ পত্র দিয়েছি সেখানে বাসের প্রত্যক্ষদর্শী দুইজনের স্বাক্ষর রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এসময় তাকে ছাত্রলীগের সাথে জড়িত আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, হ্যা আমি ছাত্রলীগের কর্মী তবে সবার আগে আমার পরিচয় সাধারণ শিক্ষার্থী।

বিজ্ঞাপন

আরেক অভিযুক্ত রিহাব রেদোওয়ান বলেন, তার এসব অভিযোগের কোন সত্যতা নেই। মূলত বাসের পিছনের সিটে দুইটি মেয়ে বসা ছিল, সে (ভুক্তভোগী) দুইজনের মাঝখানে বসা ছিল। তাই আমরা তাকে ওপাশে সরে যেতে বললাম। একপর্যায়ে তার সাথে আমাদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরিস্থিতি খারাপ পর্যায়ে চলে যাবে ভেবে আমি তাকে একটু হাতে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম। তখন সে তার বড় ভাই মজুমদারকে কল দিয়ে আনলে তখন তখন তিনি আমাদের বিষয়টা মীমাংসা করার চেষ্টা করেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আবু জাহেদ বলেন, ওনারা বাসে উঠে আমাকে সরে যেতে বললে আমি অস্বীকৃতি জানাই। একপর্যায়ে তারা আমার গলাটিপে ধরে, মুখ ও চোখে হাত দিয়ে ধরে রাখে। এভাবে প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে আমাকে শ্বাসরোধ অবস্থায় রাখে। আর ৫ সেকেন্ড ধরে রাখলে মারা যেতাম। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

বিজ্ঞাপন

এসময় আশেপাশের লোকজন সাহায্যের জন্য এসেছিলো কিনা জানতে চাইলে বলেন, আশেপাশে লোক ছিল কিন্তু কেউ সহায়তা করতে আসেনি, বরং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় আশঙ্কাজনক দেখে ওনারা স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিয়েছে।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের কাছ থেকে জানতে চাইলে বলেন, কোথায়, কী অভিযোগ হয়েছে শুনিনি। এরকম অভিযোগ সত্য হয়ে থাকলে এবং ছাত্রলীগের কর্মী হয়ে থাকলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ছাত্রলীগ অপরাধীকে বরাবরের মতোই প্রশ্রয় দেয় না।

বিজ্ঞাপন

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমরা অভিযোগগুলো পেয়েছি। এ বিষয়ে আমরা আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।

 

বিজ্ঞাপন

আরএক্স/

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD